বিদ্যুতায়িত হয়ে পঙ্গু শিশু রাকিবের চিকিৎসায় প্রয়োজন প্রায় ৩ কোটি টাকা
অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হওয়া শিশু রাকিবুজ্জামানের চিকিৎসার জন্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ টাকা দরকার। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. আবুল কালামের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা এ প্রতিবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হাত-পা হারানো শিশু রাকিবুজ্জামানকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৮ নভেম্বর এক সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদেশে শিশুটির দেশে-বিদেশে কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন ও চিকিৎসায় কত খরচ হবে তা জানাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালককে জানাতে বলা হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগের দিন ৭ নভেম্বর রাকিবুজ্জামানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। শিশুটির বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
এতে বিদ্যুৎসচিব, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, প্রকল্প পরিচালক, সাতক্ষীরার ডিসি ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শককে বিবাদি করা হয়েছে।
আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, গত ২১ মার্চ সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরের
আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর দোতলা বাসার ওপর দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্যাপ ও কভারহীন বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়। এর আগে ২০ মার্চ আব্দুর রাজ্জাক পাটকেলঘাটা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর ওই আবাসিক ভবনের ওপর দিয়ে টানা বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ না দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
পরে ৯ মে আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর ৭ বছরের শিশুপুত্র রাকিবুজ্জামান ওই বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে তার শরীর ঝলসে হাড়-মাংস খসে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাকিবুজ্জামানের ডান হাতের বগল থেকে ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।
ওই ঘটনার ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ২৫ মে আব্দুর আব্দুর রাজ্জাক ঢালী সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষতিপূরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে শিশুর বাবা আব্দুর রাজ্জাক ঢালী ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
এমএ/এসএন
