বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা বাতিল

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আজমল হোসেন।

আইনজীবীরা বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আদালতকে বলেছি একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে আসামিদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারনি বাদী। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে এ মামলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়।

২০১৬ সালের সালের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পাতা থেকে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেসবুকে।

এরপর বিভিন্ন স্থানে ইরাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আসামি করে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

Header Ad

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার কিছু আগে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে বাকু ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা।

কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজান যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি।

এছাড়া বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রে এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেচিরোভিচ সাক্ষাৎ করেছেন।

এছাড়া বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস।

Header Ad

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক মাস আগে জানিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানুষের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। যারা জাতীয় বীর এবং যে সকল শহীদ হয়েছেন তাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে। এক মাসের ব্যবধানে ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের বাস্তবায়ন করা হলো।

দেশের তিনটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যেখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।

তিন স্টেডিয়ামের প্রথমেই রয়েছে কুষ্টিয়ার শেখ কামাল স্টেডিয়াম। যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। দ্বিতীয়তে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার স্টেডিয়াম। এটির বর্তমান নাম শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম টাঙ্গাইল।

এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গন মাঠ, ঢাকা। যার নাম রাখা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ।

Header Ad

শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা

শিল্পপতি মো. জসিম উদ্দিন মাসুম ও পরকীয়া প্রেমিকা রুমা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হ্যাকস ব্লেড এবং নিহত মাসুমের পরিধেয় সাফারি স্যুট উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন রুমা। তার দেয়া তথ্যমতে মাসুমের মরদেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাতরাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।

হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ সুপার জানান, শিল্পপতি মাসুমের সঙ্গে রুমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর শেওড়াপাড়া রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়ি যোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।

নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।

উল্লেখ্য, বুধবার পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড় থেকে কালো পলিথিনের ব‍্যাগের ভেতরে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বুকের অংশ এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভুরি, ফেপসা ও কলিজা একটি সাদা পলিথিনের ভেতর মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক। তিনি রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ
ক্ষমতায় গেলে আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন
তারল্য সংকট মেটাতে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা পেল দুর্বল সাত ব্যাংক
নতুন রূপে আসছে র‍্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক
সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের