মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় সাড়ে ১৫ বছর ধরে কারাগারে বিডিআরের ৭ শতাধিক সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে করুন এবং জঘন্য ঘটনা পিলখানা হত্যাকান্ড বা বিডিয়ার বিদ্রোহ। ২০০৯ সালে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের নামে চৌকষ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ বিদ্রোহ এবং হত্যাযজ্ঞের পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলা করা হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যম আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ের পর হাইকোর্ট হয়ে তা চার বছর ধরে আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তবে নিম্ন আদালতেই ঝুলে রয়েছে বিস্ফোরক মামলা। এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন বিডিআরের ৭ শতাধিক সদস্য।

তাদের মধ্যে হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২৪৮ জন। মামলার প্রক্রিয়া শেষ না হলেও হত্যা মামলায় দণ্ডিত ২৫৬ জনের সাজার মেয়াদও শেষ। অনেক আসামির জামিন আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে বিচারিক আদালতে।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও আসামি হয়ে কারাগারে থাকা অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন অনেক বিডিআর সদস্য এবং তাদের স্বজনেরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী না থাকায় তাদের জামিন আবেদনের শুনানি করা যাচ্ছে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারিক আদালত থেকে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ২৭৮ জনের মধ্যে বর্তমানে খালাস অবস্থায় আছেন ২৪৮ জন। আর সাজার মেয়াদই শেষ হয়ে গেছে ২৫৬ জনের। শুধু বিস্ফোরক মামলার কারণে কারাগারে রয়েছেন ৫০৪ আসামি। হাইকোর্টে অন্তত ৪০টি জামিন আবেদন করা হয়েছিল; কিন্তু আমরা বিভিন্ন বেঞ্চে ঘুরছি।

কোনো বেঞ্চেই শুনানি করতে পারিনি। একবার হাইকোর্ট এক আসামিকে জামিন দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগে তা স্থগিত হয়ে যায়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানান, বিস্ফোরক মামলায় আসামি ছিলেন ৮৩৪ জন। এর মধ্যে পলাতক ২০ জন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন ৭৮৭ জন। এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে মামলাটি। বিস্ফোরক মামলার বিচার শেষ না হওয়ায় অনেকে হত্যা মামলায় খালাস পেয়ে; কিংবা সাজার মেয়াদ শেষেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। অনেকের অপরাধের ধরন এমন যে, দোষী সাব্যস্ত হলেও আইন অনুযায়ী ১৫ বছর সাজাও হবে না।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নতুন করে তদন্ত ও বিচার এবং নির্দোষ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি উঠেছে। চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের বাহিনীতে পুনর্বহালের দাবিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ৬৪ জেলার ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর ঐক্য ২০০৯’।

সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবং দ্রুত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ করে বিস্ফোরক মামলায় ১৫ বছর ধরে কারাগারে থাকা আসামিদের জামিনের দাবি জানানো হয়। এর কয়েকদিন আগে আরেক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ৫০ বিডিআরের সদস্য মামলার পুনঃ তদন্তের দাবি জানান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা প্রায় ১৬ বছর কারাগারে আছেন। তাদের অনেকেই খালাস পাওয়ার উপযুক্ত। আমরা এরই মধ্যে জামিনের আবেদন করেছি। পিপি নিয়োগ হলেই সেগুলো শুনানি হবে। যেহেতু বিচার বিলম্বিত হচ্ছে, তাই জামিন না দেওয়াটা অবিচার।’

নতুন করে তদন্তের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অধিকতর তদন্ত হতে পারে। এ জন্য পুলিশকে আদালতে আবেদন করতে হবে। অধিকতর তদন্তে নতুন করে কারও সম্পৃক্ততা পেলে তার বিচার করতে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনারও অধিকতর তদন্ত হতে পারে। তাতে কেউ নির্দোষ হলে তার মুক্তি ও নতুন কারও জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে।’

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদও নতুন তদন্তের পক্ষে। সম্প্রতি প্রচারিত এক আলোচিত ইউটিউব ভিডিওতে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে ১৫ বছরে শুধু বিগত সরকারের কথা শুনতে হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার অনেক কিছুই জানা নেই। মইন ইউ আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে ঘটনায় প্রকৃত জড়িত ব্যক্তিদের বের করা যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে থাকা কাম্য নয়। এতে নানা কারণে ন্যায়বিচার লঙ্ঘন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মামলা নিষ্পত্তি হলে হয়তো এত দিনে অনেকে খালাসও পেতে পারতেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী না থাকার ফলে জামিন শুনানি করতে না পারার বিষয়টিও দুঃখজনক। বিনা অপরাধে দীর্ঘদিন আটক থাকা ব্যক্তি রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন শিহাব উদ্দিন খান।

পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন আদালত। তাতে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সর্বোচ্চ ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৫৬ জনকে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন।

বিদ্রোহের ঘটনায় বিচার করা হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিজস্ব আইনেও। এতে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ছাড়া সারা দেশে বিশেষ আদালত গঠন করে বিচার করা হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। আর সাজার বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরা আপিল করেন। ৬৯ জনের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৮৫ জনের। এ ছাড়া ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। আর বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত ২৮৩ জন খালাস পান।

হাইকোর্টের রায়ের পর সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আসামিরা। অন্যদিকে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া এবং সাজা কমা ৮৩ আসামির বিষয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এমন প্রেক্ষাপটে ঘটনার পর গঠিত সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির দায়িত্বে থাকা বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।’

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও সচল হয়েছে রাজধানীর মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন। দীর্ঘ একদিনের বিরতির পর মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে যথারীতি গণপরিবহনগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়, যা ঢাকাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুধুমাত্র ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পরদিন থেকে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী মেট্রোরেল চলবে। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম মেট্রোরেল ট্রিপটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। একইভাবে, মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে, আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলও মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ঈদের আগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানিয়েছিলেন যে, ঈদের দিন সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে ঈদের আগে সব ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ (ডে-অফ) বাতিল থাকবে এবং ঈদের পর থেকে তা আবার কার্যকর হবে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। রাজধানীতে গণপরিবহন স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ঈদের ছুটির পর অফিস ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেনের চলাচল শুরু হওয়া এক স্বস্তির খবর। যাত্রীরা মনে করছেন, স্বাভাবিক গণপরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত সচল হওয়ায় তাদের যাতায়াত সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ যাত্রায় এবার গত এক সপ্তাহে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকার টোল আদায় হয়।

ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়:-

গত ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এরমধ্যে সেতু পূর্ব উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। সেতু পশ্চিম ঢাকাগামী লেনে ১২ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ১৫ হাজার ৩৫৪ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। অপরদিকে, সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৬ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৭ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ২০ হাজার ২৪১ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৪ হাজার ৯৮৬ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

গত ২৮ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

গত ২৯ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

ঈদযাত্রার শেষদিন রবিবার ৩১ হাজার ৪৬৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১০ হাজার ৩৩৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় গত এক সপ্তাহে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা। সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে উভয় পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়। 

তিনি আরো জানান, ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৪ লেন খুলে দেওয়ায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্য ফিরেছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর ঈদযাত্রায় তুলনামূলকভাবে কম দুর্ঘটনা ঘটলেও ঈদের দিনেই দেশের ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন।

সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে চট্টগ্রামে, যেখানে এক দুর্ঘটনাতেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।


চট্টগ্রাম: লোহাগড়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত ৯ জন। নিহতরা সবাই টেকনাফের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ছিলেন।

বগুড়া: শেরপুরে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত। এক ঘটনায় বাবা-মেয়ে বাসচাপায় প্রাণ হারান।

মেহেরপুর: মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস ও পাখিভ্যানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৩ জন।

গাজীপুর: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে এক নারী ও এক শিশুসহ ২ জন নিহত, আহত ৪ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আরও ২ জন আহত।

কিশোরগঞ্জ: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত।

ফরিদপুর: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিহত।

নাটোর: মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে এক যুবকের মৃত্যু।

মাগুরা: সড়ক পার হওয়ার সময় এক নারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত।

ঝিনাইদহ: আলমসাধুর চাপায় এক শিশুর মৃত্যু।


এই ঈদের দিনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল সম্পর্কিত। কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, আবার কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল অন্য যানকে ধাক্কা দিয়েছে বা চাপা দিয়েছে।

সতর্কতা ও করণীয়

- চালকদের আরো সচেতন হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

- ঈদে অতিরিক্ত ভিড় ও যানবাহনের চাপ থাকায় যাত্রীদেরও সতর্ক হতে হবে।

- মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ঈদের আনন্দ যেন শোকের ছায়ায় ঢেকে না যায়, সে জন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে রাস্তায় চলাফেরা করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু
যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১
টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান