সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

অপহরণ নাটক: সেই রহিমা-মরিয়মদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মা রহিমা বেগমকে ফিরে পেতে মেয়ে মরিয়ম মান্নানের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন মরিয়ম মান্নান। সাজানো হয়েছিল অপহরণ নাটক। পাঁচ প্রতিবেশীকে আসামি করে দেয়া হয়েছিল মামলা। জেলও খাটতে হয়েছে তাদের। এবার পুৃলিশ খুঁজছে সেই রহিমা ও মরিয়মসহ চারজনকে ধরতে!

অপরণ নাটকের বিষয়টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে আসার পরই রহিমা ও তার তিন মেয়ের নামে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক প্রতিবেশী। মামলাটি আমলে নিয়ে চারজনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খুলনার মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। সেসময় তাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে পরদিন মামলা করেন মেয়ে আদুরি আক্তার। ওই দিন রাত ২টার দিকে খুলনা নগরের দৌলতপুর থানায় মায়ের অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদী। আর পর দিন একই অভিযোগ তুলে ওই থানায় মামলা করেন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরি আক্তার।

মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল ও হেলাল শরিফের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে পুলিশ উদ্ধার করলে বেরিয়ে আসতে থাকে সাজানো নাটকের বিষয়টি।

২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে তাদের দেয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আদুরি আক্তার আদালতে নারাজি আবেদন করলে সেটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন বিচারক।

খুলনা সিআইডির পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অপহরণের ঘটনাটি মিথ্যা উল্লেখ করে চলতি বছরের ১৩ মে আদালতে সম্পূরক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এরপরই অপহরণ মামলা থেকে অব্যাহতি পান ভুক্তভোগীরা। এদের মধ্যে একজন মো. রফিকুল আলম পলাশ মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ২৬ জুন খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলার আবেদন করেন। এতে রহিমা বেগম, তার মেয়ে আদুরী আক্তার (২২), অপহরণ নাটকের মাস্টারমাইন্ড রহিমা বেগমের আরেক মেয়ে মরিয়ম মান্নান (২৮) এবং বড় মেয়ে কানিজ ফাতেমাকে (৩২) আসামি করা হয়। আদালত ওইদিনই মামলাটি আমলে নিয়ে চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ভুক্তভোগী পলাশ বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তারা আমাকে অপহরণ মামলায় আসামি করে। আমি দেড় বছর হয়রানি শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি। প্রতারণা এবং মিথ্যাচার করার জন্য এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, আদালত থেকে এখনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। নথি পাওয়া মাত্রই আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Header Ad

চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

ডা. একে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিন ভোর ৫টার দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ভোর সোয়া ৪টার দিকে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হন।

এর আগে গত ২ জুলাই তিনি ১১ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাসায় ফেরেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভাকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এর একদিন পর ২২ জুন তার হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইল ছবি

দেশের চার বিভাগে টানা তিন দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া অন্য বিভাগগুলোতেও কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বুধবার (১০ জুলাই) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এই পাঁচ দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯

ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অবৈধ স্বর্ণখনিতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের সৃষ্টি হলে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১৯ জন।

দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আজ সোমবার (৮ জুলাই) এই তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।

খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপমালার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন ধরনের খনি। পরিত্যক্ত এসব খনি থেকে স্থানীয়রা মূল্যবান খনিজ পদার্থ সংগ্রহের আশায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে অথবা বিনা অনুমতিতে অভিযান চালায়। যার ফলে প্রায়ই ঘটে নানান ধরনের দুর্ঘটনা।

প্রচুর মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে গোরোনটালো প্রদেশের বোনে বলাঙ্গ জেলার একটি দুর্গম গ্রামে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে মারা যায় কমপক্ষে ১১ জন এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কিছু মানুষ।

স্থানীয় সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সংস্থার প্রধান হেরিয়ান্তো জানান, ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে আটজনের মরদেহ বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনজন নিহত লোকের দেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া আরও ১৯ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

হেরিয়ান্তো জানান, ভূমিধসে এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে পড়েছে এবং উদ্ধারকর্মীদের হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। তিনি জানান পুলিশ কর্মকর্তা ও সৈন্যসহ ১৮০ জন লোক উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত আছে।

ইন্দোনেশিয়ায় নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। তবে জুলাই মাস শুষ্ক থাকলেও এবারই প্রচুর বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটলো। গত মে মাসে দেশটির দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ সংবাদ

চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ফাঁস, বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে কোথায়
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
‘পিস্তল’ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, দুই যুবক আটক
নিলামে উঠল নেপোলিয়নের পিস্তল, বিক্রি সাড়ে ২১ কোটি টাকায়
সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ
নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫
বরিশালে বিষপান করে কেন্দ্রে এসে জ্ঞান হারাল এইচএসসি পরীক্ষার্থী
আবারও হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
দেশে ফিরলেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি, মারা গেছেন ৬২ জন
দুবাইয়ে গাড়ি বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁয় শিক্ষককে নির্যাতনের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শতভাগ সফল হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস!
এবার এক দফা দাবিতে আবারও ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম !
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু