মাত্র ২১ বছর বয়সে যেভাবে ব্যারিস্টার হলেন বাংলাদেশি গোলাম মোর্শেদ
ব্যারিস্টার গোলাম মোর্শেদ জুনিয়র শান। ছবি: সংগৃহীত
গোলাম মোর্শেদ জুনিয়র শান মাত্র ২১ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে ‘মাস্টার্স অফ ল ইন লিগ্যাল প্রাকটিস (বার)’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ব্যারিস্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ বাকিংহাম থেকে এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোর্শেদ জানান, ছোটোবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল কম বয়সে ব্যারিস্টারি পড়াশোনা শেষ করার। ইংরেজি মাধ্যম ও লেভেল শেষ করতে যেখানে দুই বছর সময় লাগে সেখানে মোর্শেদ এক বছরে শেষ করেছেন। আবার এ লেভেল যেখানে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে সেখানে দেড় বছরে শেষ করেছেন তিনি।
আবার বাংলাদেশে আইন নিয়ে স্নাতক করতে চার বছর সময় লাগলেও একই কোর্স তিনি বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরে শেষ করেছেন এবং এর মধ্যে তার কোনো শিক্ষা বিরতি ছিল না যার ফলে তিনি এত কম সময়ে শেষ করতে পেরেছেন।
নিজের একাগ্রতা, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শ্রেষ্ঠত্বের নিরলস সাধনার জন্য গতবছরের ২৭ জুলাই তাকে দ্য অনারেবল সোসাইটি অফ লিংকন্স ইন-এর বার অফ ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে ডাকা হয়েছিল। ল অফ টর্টসে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় তিনি মর্যাদাপূর্ণ ‘সেরা পারফর্মার’ পুরস্কার অর্জন করেন।
শানের পেপারস পরীক্ষক বোর্ডের সুপারিশের পর যুক্তরাজ্যের সিনেট থেকেও অনুমোদিত হয়েছিল। তার দক্ষতা আরও স্বীকৃতি পেয়েছিল, যখন তার টর্ট পেপার উত্তরটি পরের বছরগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম শ্রেণির উত্তর হিসাবে একটি মডেলস্বরুপ যুক্ত করা হয়। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ বাকিংহামের ডিনের তালিকায়ও সম্মানিত হয়েছেন।
শানের বাবা মাহমুদ মোর্শেদ প্রথমে আমেরিকা থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী। শান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদের দৌহিত্র।