রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট আইওয়াশ, হাস্যকর: বললেন হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট লোক দেখানো (আইওয়াশ) ও হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, দায় এড়ানোর জন্যই তারা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) এ ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে। শিশু আয়ানের অ্যাজমা সমস্যা থাকার কথা জানার পরও কেন চিকিৎসকরা অপারেশনের জন্য এতো তাড়াহুড়া করলেন? শিশু আয়ানের সুন্নতে খৎনা করার সময় যে পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে, হার্টের বাইপাসেও এতো ওষুধ লাগে না বলে মন্তব্য করেন আদালত।

শিশু আয়ান আহমেদ

 

আদালত আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের দেশে মানুষ বেশি। সে হিসেবে চিকিৎসকের সংখ্যা কম। কিন্তু নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। এরপর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুন্নতে খৎনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।

১৫ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ জমা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ান ‌চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য আয়ানকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া লাগতো। সুন্নতে খৎনার অপারেশনের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।

শিশু আয়ানের অপারেশনের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয় মর্মেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নাতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।

Header Ad

ভরিতে হাজার টাকা কমলো সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।

সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

রোববার (৩০ জুন) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮০ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বক্তব্য প্রত্যাহার করে লায়লা কানিজকে ক্ষমা চাইতে হবে : ডিইউজে

ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ ‘সাংবাদিকদের কিনেছেন’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এছাড়া লায়লার ‘এ হীন বক্তব্যের জন্য’ তাকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিইউজে।

আজ রবিবার এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, “গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এ হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।”

ডিইউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের বক্তব্যর মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেনই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।’

এতে আরও বলা হয়, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন। কোনো সাংবাদিক যদি তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেন তাদের নামও প্রকাশ হওয়া উচিত। যদি প্রকৃতভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে লায়লা কানিজের উচিত হবে সুনির্দিষ্টভাবে ওই সাংবাদিকদের নাম বলা। ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।’

‘একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’,- বলা হয় বিবৃতিতে।

লায়লা কানিজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

এবার পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরে মতিউরের বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনার মধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের কথা জানানো হয়। অপর দিকে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুত করে সম্পদ নিলামে তোলা দরকার: ড. মোমেন

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ খুঁজে বের করে তা নিলামে তোলা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি হতে পারে না, তাদের চাকরিচ্যুত করা দরকার।

রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আব্দুল মোমেন লিখেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িৎ বেগে চাকরিচ্যুত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকরিজীবীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি। দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।

সর্বশেষ সংবাদ

ভরিতে হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
বক্তব্য প্রত্যাহার করে লায়লা কানিজকে ক্ষমা চাইতে হবে : ডিইউজে
দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুত করে সম্পদ নিলামে তোলা দরকার: ড. মোমেন
১ জুলাই ব্যাংক হলিডে, সব ধরনের লেনদেন বন্ধ
রোহিত-কোহলির পর এবার অবসরের ঘোষণা জাদেজার
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেফতার
নওগাঁয় বজ্রপাতে যুবক নিহত, আহত দুই
বাড়ি বাড়ি ঢুকে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল
সব বিভাগে ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভূমিধসের শঙ্কা
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা এনবিআরের সচিব ফয়সালকে বদলি
প্রতারণার শিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে পারল না ২২ শিক্ষার্থী, কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান মতিউরের স্ত্রী লায়লা
শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন সাবিলা নূর!
মেরামত কাজ শেষ, শিগগিরই গতি ফিরছে ইন্টারনেটের
এলপিএল খেলতে দেশ ছেড়েছেন তিন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেও আবেদন
ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা চেষ্টা, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি
বৃষ্টির ময়লা পানি কাপড়ে লাগলে নামাজ পড়া যাবে?
কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক গ্রেপ্তার