বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আদম তমিজী হকের জামিন নামঞ্জুর, ক্ষুব্ধ বিচারক

ছবি: সংগৃহীত

আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে আদালতে হাজির না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। দেশে কি আইন-আদালত নেই।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জানতে চান, গ্রেপ্তারের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির না করে কিভাবে আসামিকে রাখা যায়। এসময় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আরফাতুল রাকিব।

আদম তমিজী হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। শুনানি শেষে আদম তমিজী হকের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

এজন্য তমিজী হকের আইনজীবী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায় চাপান। তিনি বলেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটায় আদালত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শুনানিতে এ আইনজীবী বলেন, আদম তমিজী হক একজন মানসিক রোগী। মানসিক ইন্সটিটিউট বিকন পয়েন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানসিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় তাকে সেখানেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকলে কোর্টে না এনে কিভাবে সেখানে রাখা হলো বলে জানতে চান আদালত।

এসময় আইনজীবী জানান, তাকে আদালতে আনা সম্ভব ছিলো না।

এ উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলেন, বাংলাদেশের একটা সংবিধান আছে। তাহলে সংবিধান ছিঁড়ে ফেলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেও আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এতদিন সেখানে কিভাবে থাকেন। দেশে কি আইন-আদালত নাই।

গত সেপ্টেম্বরে ফেসবুক লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে এবং নিজ দল আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তমিজী হক। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। আদম তমিজী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক।

এরপর গত ১৩ নভেম্বর রাত ১২টায় ঢাকায় ফেরেন আদম তমিজী। পরে রাষ্ট্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে ১৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আদম তমিজী হক ইচ্ছাকৃতভাবে তার কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

গত ১৬ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে যায় র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে র‍্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার না করে চলে যায়।

 

Header Ad
Header Ad

ভারতে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে

ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  

ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। ছবিঃ সংগৃহীত

দিল্লির একটি আদালত ভারতের বিখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের দুটি বিতর্কিত চিত্রকর্ম জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, চিত্রকর্মগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।

সোমবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট পুলিশকে চিত্রকর্মগুলো জব্দ করার অনুমতি দেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত ওই চিত্রকর্ম দুটি হিন্দু দেব-দেবীকে নগ্ন রূপে চিত্রিত করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দিল্লি আর্ট গ্যালারিতে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পীর ১০০টিরও বেশি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছিল। এক বিবৃতিতে গ্যালারিটি জানায়, তারা আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষ নয় এবং বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে।

আইনজীবী অমিতা সচদেবা ৪ ডিসেম্বর চিত্রকর্ম দুটি গ্যালারিতে দেখে ছবি তোলেন এবং পূর্ববর্তী অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ৯ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ১০ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে গ্যালারিতে গেলে দেখতে পান চিত্রকর্ম দুটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গ্যালারি কর্মকর্তারা তখন দাবি করেন, তারা কখনোই চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন করেননি।

অমিতা সচদেবা আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের আবেদন করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে জানায়, প্রদর্শনীটি ব্যক্তিগত স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল এবং এটি শুধু শিল্পীর মৌলিক কাজ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল।

মকবুল ফিদা হুসেনকে ‘ভারতের পিকাসো’ বলা হতো। তাঁর চিত্রকর্ম বহুবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০০৬ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ চিত্রকর্মের জন্য তাঁকে অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ওই চিত্রকর্মে এক নগ্ন নারীকে ভারতের মানচিত্রের রূপে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে হুসেন দেশ ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপন করেন এবং ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

২০০৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হুসেনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেন, হুসেনের চিত্রকর্ম ভারতীয় প্রতীক ও ইতিহাসে প্রচলিত নগ্নতার ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। বহু শিল্পী ও সমালোচক মনে করেন, ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অক্টোবরে বোম্বে হাইকোর্ট এফএন সাউজা ও আকবর পাদামসির শিল্পকর্ম ‘অশ্লীল’ বলে কাস্টমস বিভাগের জব্দের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। আদালত রায় দেন, প্রতিটি নগ্ন চিত্রকর্ম অশ্লীল নয়।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি।

এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেড় মাস পড়েই মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় থাকে খেজুর ও ছোলা। উচ্চমূল্যে ভোজ্য দ্রব্যাদি কিনতে সাধারণ মানুষের যেন হিমশিম খাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। আয়ের বিপরীতে অনেক বেশি দামে সব ধরনের পণ্য কিনতে হচ্ছে।

প্রতি রমজানে সব পণ্যের দাম হয়ে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। এই বছর মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আবারো যদি সব ভোজ্য পন্যের দাম বাড়ে তাহলে হয়তো কিনে খাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

এ নিয়ে একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'খাবার-দাবার কিনে খাওয়া আমাদের জন্য না। ঐটা বড়লোকের জন্য।'

আরো একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'দিনমজুরের জন্য আসলে বেঁচে থাকা না। আমি দিনে ইনকাম করি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ এক লিটার তেল কিনতে হয় ১৯০ টাকা দিয়ে।'

এইদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, রমজানকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি চাহিদার পণ্য খেজুর, এর যোগান যেন বাজারে এখন সবচেয়ে কম। অথচ এই পণ্যের ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছে সরকার। তবে ট্যাক্স কমানোর পরেও রমজানে খেজুরের দাম কমবে না বলে যেন তার আগাম বার্তা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

এ নিয়ে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, 'মাত্র পাঁচ শতাংশ টেক্সট কমিয়ে দিলে সেটা আমার মনে হয় না ক্রেতাদের উপর কোন বড় প্রভাব ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় এটা চোখে ধুলা দেওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা।'

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফিদা হুসেনের চিত্রকর্ম জব্দের নির্দেশ  
মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  
রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  
চুরির টাকা ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস