সিন্ডিকেটের কবলে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকেট, ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে কিছু দিন আগেই চালু হয়েছে কক্সবাজার-ঢাকা রুটের ট্রেন চলাচল । চালু হতে না হতেই কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকেটি নিয়ে শুরু হয়েছে কালোবাজারি । অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারে রেলের টিকেট শতভাগ কালোবাজারি সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে। আর অতিরিক্ত দেড় থেকে ২০০ টাকা দেওয়া হলেই মিলছে টিকেট। প্রতিদিনই কাউন্টারে গিয়েও মিলছেনা কোন টিকেট, কিংবা অনলাইনেও ৮টা ১ বা ২ মিনিটের মধ্যে সব টিকেট উধাও হয়ে যায় ।
টিকেট নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত কক্সবাজারের ঝিংলজায় অবস্থিত আইকনিক রেলস্টেশনের ট্রেন টিকেট কোথায় যাচ্ছে, কোনো সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে কালোবাজারি হচ্ছে কি না, কারা জড়িত—এসবের তদন্ত করতে র্যাব ১৫-কে দায়িত্ব দিয়েছেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ১-এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে মামলাটি দায়ের করেন।
বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় প্রথম যাত্রী নিয়ে রেল চলাচলের পর থেকে এই ট্রেনের টিকেটকে নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে হইচই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। টিকিটের এই সিন্ডিকেট নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, 'আদালতের আদেশটি এখনও হাতে পৌঁছেনি। পৌঁছার পর যথাযথভাবে তদন্ত করবে র্যাব।'