আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে রুল খারিজের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শহিদুল আলমের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করে আদালত। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে জামিন দেয় হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই বছরের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইম লাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর রূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
এমএ/কেএফ/