শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আপাতত জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই শিশু

দুই কন্যা শিশু আপাতত তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আদেশে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শিশুদের মা ও জাপানি নাগরিক এরিকোকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (সিপি) করতে বলা হয়েছে।

শিশুদের বাবা ইমরান শরীফও সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে শিশুদের সাথে দেখা করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

এই দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে জাপানি মায়ের করা আপিল শুনানির ধারাবাহিকতায় সোমবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেয়।

আদালতে আজ মায়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও শিশির মনির। আর বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

এ সময় আপিল বিভাগে বাবা-মায়ের সাথে দুই শিশু কন্যা আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ২১ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই শিশুকে নিয়ে দেয়া রায়ে বলেছে, যেহেতু মা জাপানি নাগরিক, সেখানে তার বসবাস ও কর্মস্থল সে কারণে তিনি তার সুবিধামত সময়ে বাংলাদেশে এসে শিশুদের সঙ্গে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ দিন একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। এক্ষেত্রে বছরে তিন বার বাংলাদেশে তার যাওয়া আসাসহ ১০ দিন অবস্থানের যাবতীয় খরচ শিশু দুটির বাবাকে বহন করত হবে। তবে এর চেয়ে অতিরিক্ত যাওয়া-আসা বা বাংলাদেশে অবস্থানের ক্ষেত্রে খরচ মা নিজে বহন করবেন। এছাড়া বাবা মাসে কমপক্ষে দুই বার শিশু সন্তানদেরকে ভিডিও কলে মায়ের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেবেন। আর গত কয়েক মাস বাংলাদেশে অবস্থান ও যাতায়াত বাবদ ওই মাকে ১০ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে শিশুদের বাবার প্রতি নির্দেশ দেয় আদালত।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে এই শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখতে এবং প্রতি তিন মাস পরপর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়। তবে জাপানে থাকা এদের আরেক মেয়েকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে ইমরান শরীফের করা রিটটি খারিজ করে দেওয়া হয়।

এর আগে দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ঢাকায় এসে গত ১৯ আগস্ট জাপানি মায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়। হাইকোর্ট ওই দুই মেয়েকে নিয়ে বাবা ৩০ দিন বিদেশ যেতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে দুই মেয়েকে বাবার হেফাজত থেকে সিআইডি উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই রাখার নির্দেশ দেয়। তবে ওই সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের আইনজীবী আদালতে এসে জানান শিশুদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। পরবর্তীতে দুই পক্ষের প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাইকোর্ট আদেশ দেয়, ইমরান শরীফের গুলশানের ভাড়া করা ফ্লাটে দুই শিশুকে নিয়ে বাবা- মা আপাতত ১৫ দিন একসাথে থাকতে পারবেন। সেই সাথে ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এদের পারিবারিক পরিবেশের বিষয়টি দেখভাল করেতে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দুই শিশু ও তাদের মা-বাবার যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। তবে এই আদেশ মোডিফিকেশন চেয়ে এরিকোর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার রাত (৯, ১১, ১৩ ও ১৫ তারিখ) দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে জাপানি মা গুলশানের বাসায় থাকবেন বলে আদেশ দেয়। বাকি সময়টা বাবা-মা দুজনেই শিশুদের সাথে থাকতে পারবেন বলে আদেশ দেয়া হয়।

এছাড়া বাবা-মা দুজনই তাদের শিশুদের নিয়ে বাইরে যেতে এবং কেনাকাটা ও ঘুরাফেরা করতে পারবেন বলে আদেশে বলা হয়। আর ওই ফ্লাটের ভেতরে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা অপসারণ করে বাসার বাইরে তা স্থাপন করতে বলেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে দুই শিশুর মা-বাবাকে নিয়ে প্রচারিত ‘অবমাননাকর ভিডিও’ অপসারণে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়ে ওইসব ভিডিও যারা তৈরি ও প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারকে ওইদিন নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাবা-মাকে সমঝোতার সুযোগ দিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গুলশানের বাসায় একদিন মা ও একদিন বাবাকে শিশুদের সঙ্গে থাকার সুযোগ দিয়ে আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদেশ অনুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য এলে দু’পক্ষই আবার সমঝোতার জন্য সময় চায়। তখন আদালত দু’পক্ষকে আবার সমঝোতায় বসার সুযোগ দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট তার আদেশে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দিন-রাত সব সময় জাপানি মা এরিকো গুলশানের ভাড়া ফ্লাটে দুই কন্যাকে নিয়ে থাকতে পারবে বলে আদেশ দেয়। এই সময় বাবা ইমরান শরীফ শুধু দিনের বেলা সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে ও থাকতে পারবেন বলে বলা হয়। অবশেষে কয়েক মাস জুড়ে আলোচনা থাকা বিষয়টি নিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।

তবে দুই শিশুর জিম্মা নিয়ে করা রিটটি (কন্টিনিউয়াস ম্যান্ডামাস) বিচারিক বিবেচনায় চলমান থাকবে বলে দেয়া রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমরা দুই পক্ষের আইনজীবীকেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাবো কোর্টকে সহযোগিতা করার জন্য। এধরণের একটা কন্টেস্টিং মামলায় দুই পক্ষেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ল’ উপস্থাপন করেছেন, যাতে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি এবং যা আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে খুব সহায়ক হয়েছে। তবে হৃদয় বিদারক কথা হচ্ছে, আমরা আজ যে রায় বা আদেশ দেই না কেন, ভিকটিম কোন না কোন পক্ষ তো হবেন। তবে তারচেয়ে বেশি ভিকটিম হবেন এই দুই শিশু সন্তান। তবে আমরা আশা করবো যে, এই বাবা-মা ভবিষ্যতে যেন আরো গঠনমূলক এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেন এবং সেক্ষত্রে তারা যাতে পদক্ষেপ নিতে পারেন আমরা সে সুযোগ রেখেই আদেশটি দিচ্ছি।

আদেশে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, আরেকটি কথা বলতে হবে যে, আমরা আপনাদের সিদ্ধান্ত এবং যুক্তি সবকিছুই যতটুকু সম্ভব বিবেচনা করেছি। এসব বিবেচনা করতে গিয়ে আমরা শিশু দুটির সাথে সর্বমোট ৩ বার কথা বলেছি। আমরা আমাদের বিবেচনায় বাচ্চাদের বর্তমান পর্যায়ে কল্যাণের জন্য যে ধরনের আদেশ প্রদান করা সমীচীন, সেভাবেই আদেশ দিচ্ছি।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে নাকানো এরিকোর করা আপিলের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে দুই শিশুকে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মায়ের জিম্মায় রাখতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। আর ১৫ ডিসেম্বর দুই শিশুকে আদালতে নিয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু দুই শিশুকে মায়ের কাছে না দেয়ার প্রেক্ষাপটে দুই শিশুকে পরে আপিল বিভাগে হাজির করতে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী দুই শিশুকে বাবা আদালতে নিয়ে আসলে আপিল বিভাগ শিশুদের খাসকামরায় নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট তাদের কথা শোনে।

পরে আদালত ওই দুই শিশুকে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ চলমান রেখে ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করে। সে অনুযায়ী গত ১৫ ডিসেম্বর আদালত আদেশ দেয় যে, আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই কন্যা শিশু তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে।

এমএ/কেএফ/

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর