শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মৃত্যুর অনেক পর আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি!

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির নতুন একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া নামগুলোর মধ্যে অনেক আইনজীবীর নাম আছে, যারা তালিকাভুক্ত হওয়ার অনেক আগেই মারা গেছেন বলে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো: রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।

গত ৩০ ডিসেম্বর এই তালিকা প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি (তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন) মহোদয়ের সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী (বর্তমান প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি জনাব মো: নূরুজ্জামান এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মহোদয়ের সমন্বয়ে এনরোলমেন্ট কমিটি গত ২৬/১২/২০২১ খ্রি. তারিখের সভায় প্রত্যেক সদস্যের স্বতন্ত্র মতামতের ভিত্তিতে নিম্ন তালিকাভুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এই তথ্য তুলে ধরেন বার সম্পাদক। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এজলাসে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।

আইনজীবী সমিতির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি, অ্যাডভোকেট-অন রেকর্ড হিসেবে তালিকাভুক্তি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে সম্মাননা প্রদানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড ও নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। কোনো একজন ল’ গ্র্যাজুয়েট নিম্ন আদালতে আইনজীবী হওয়ার জন্য বার কাউন্সিল নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রথমে এমসিকিউ, পরবর্তীতে লিখিত ও সর্বশেষ ভাইভা দিয়ে অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রেও অনুরূপভাবে এমসিকিউ, লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।’

রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, ‘একটি তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। অথচ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্তির জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা মানদণ্ড না থাকায় অধিকাংশ আইনজীবী তালিকাভুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা আছে, যারা অনেক আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এর স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পান। আমরা মনে করি, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে আপিল বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্তি, অ্যাডভোকেট-অন রেকর্ড তালিকাভুক্তি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে সম্মাননার বিষয়টি নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে একজন বিচারপ্রার্থীর সর্বশেষ আশা-ভরসার স্থল। সুতরাং এই অঙ্গনকে কুলষমুক্ত রাখা, দুর্নীতিমুক্ত রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা সদা-সর্বদা সোচ্চার। তবে সমিতির সদস্য হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি। আপনার কার্যকালের এই প্রথম কর্মদিবসে তার কয়েকটি বিষয় আমি সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করতে চাই।’

‘বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি মোশন বেঞ্চগুলো থেকে স্বল্প মেয়াদে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ছয় মাস বা এক বছর। জামিন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে আদেশ নামানো, আদেশ ডেসপাস করা প্রতিটি ক্ষেত্রে অহেতুক নানাবিধ অতিরিক্ত পয়সা খরচ করতে হয়। অথচ আদালতে ফাইল আনা, ফাইল পাঠানো কিংবা আদেশ পাঠানো আইনগতভাবে অত্র আদালতের প্রশাসনিক দায়িত্ব। নবীন আইনজীবীরা এটির যে নিয়ম সেটি আজ ভুলতে বসেছে।’

‘অনিয়ম এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে মনে হয় এসব প্রশাসনিক কাজ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বা আইনজীবী সহকারীর দায়িত্ব। এ কারণে বিচার প্রশাসনে নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়ম ঘটছে। একটি মামলা এফিডেভিট করে দায়েরের পর আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে ও আদালতের আদেশের পর আদেশ পাঠানো পর্যন্ত পদে পদে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। কোনো মামলা, জামিন কিংবা স্থগিতাদেশ বৃদ্ধির জন্য সময়মত নির্দিষ্ট আদালতে ফাইল না আসা কিংবা আদেশ সময়মত নিম্ন আদালতে না পৌঁছানোর ফলে জামিন প্রাপ্ত ব্যাক্তির অহরহ নিম্ন আদালত কর্তৃক পুনরায় কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটছে। এসব সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে হাইকোর্ট প্রদত্ত অন্তর্বর্তীকালীন যেকোনো আদেশ, বিশেষ করে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চেম্বার জজ আদালতে একতরফা শুনানি হয়ে থাকে। যেহেতু প্রতিটি আবেদনপত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর মোবাইল নম্বর থাকে, আপিল শুনানির পূর্বে আপিলকারী পক্ষ কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়েরকারী বিজ্ঞ আইনজীবীকে অবহিত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীকে অবহিত করণের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

এমএ/এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর