এনএসইউর চার ট্রাস্টির জামিন শুনানি ২৮ আগস্ট
বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির জামিন শুনানি একসঙ্গে করতে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৮ আগস্ট চারজন ট্রাস্টির জামিন একসঙ্গে শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন চাওয়া এই চার আসামি হলেন— রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ।
তাদের মধ্যে দুই ট্রাস্টি এমএ কাশেম ও রেহেনা রহমানের জামিন আবেদনের উপর জারি করা রুলের বিষয়ে শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট দিন নির্ধারণ আজ বুধবার নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে আজ রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদালতের আদেশের পর একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তাদের জামিন শুনানির সময় জঙ্গির সংশ্লিষ্টতার বিষয় ও চারজন ট্রাস্টির জামিন শুনানি একসঙ্গে শুনানির বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্র ও দুদক সময়ের আবেদন করলে কোর্ট এ সময় দেন। আগামী ২৮ আগস্ট চারজন ট্রাস্টির জামিন একসঙ্গে শুনানি হবে।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী শাহ মুঞ্জুরুল হক।
অন্য দুই ট্রাস্টি রেহানা রহমান ও এম এ কাশেমের জামিন বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। গত ২ আগস্ট একই আদালতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তাদের দুজনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশ দেন আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আসামিদের মধ্যে চারজন আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ২২ মে চার আসামিকে জামিন না দিয়ে শাহবাগ থানায় পাঠায় হাইকোর্ট।
আদালতে ওইদিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মিজান সাঈদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
উচ্চ আদালতের ওই আদেশের পর চারজনকে আদালতে নিয়োজিত পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন হাইকোর্ট। পরদিন ২৩ মে অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত।
এমএ/আরএ/