ছুটিতে গেলেন বিচারপতি ইমান আলী
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ছুটিতে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির পর তিনি ছুটিতে যান।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। চাকরিবিধি অনুযায়ী পরের দিন ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই নিয়োগ দেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ পড়াবেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিদের তালিকায় তার পরে নাম আছে যথাক্রমে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এবং নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর।
এদিকে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী কতদিনের জন্য ছুটিতে থাকবেন সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২৩তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে সামনে রেখে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন (সুপারসিড) প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এখানে আইন লঙ্ঘন ও জ্যেষ্ঠতার কোনো বিষয় নেই।
অবশ্য জ্যেষ্ঠতা এড়িয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে এটি একমাত্র উাদহরণ নয়। জ্যেষ্ঠতা এড়িয়ে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হলে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়াও পদত্যাগ করেছিলেন। ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা এড়িয়ে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে সে সময়ও আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে যান। তারা হলেন- বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান।
তাছাড়া রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার পরও প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াননি এমন উদাহরণও আছে নিকট অতীতে। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানকে নিয়োগ দেওয়ার পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম তাদের শপথ পড়াননি। পরে তিনি অবসরে যাওয়ার পর পরবর্তী প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ওই দুই বিচারপতিকে শপথ পড়ান।
এমএ/এএস