শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা ২০২১

আদালতের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ কয়েকজন বিচারক

মহামারি করোনার প্রভাবে বিদায়ী বছর ২০২১ সালে সারাদেশের সব আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলেছিল ঢিমেতালে। আদালতে বিচারিক কার্যক্রম কখনও চলেছে সশরীরে, আবার কখনও অন্তরালে। এর মধ্যেও বিচারাঙ্গণের সর্বোচ্চ আসনে থাকা সাবেক এক প্রধান বিচারপতিসহ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিচারক নিজেই আদালতের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

বিচারকদের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিন্হার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদলত। আবার নিম্ন আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারককে তলব করেছিল উচ্চ আদালত। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালতেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন নিম্ন আদালতের এক বিচারক।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধান বিচারপতি
বিদায়ী বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিন্হাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। গত ৯ নভেম্বর এই রায় দেয় আদালত। পাশাপাশি ৪৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় আদালতের দৃষ্টিতে পলাতক সাবেক এই প্রধান বিচারপতির। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম দেশের বিচারাঙ্গণের সর্বোচ্চ আসন প্রধান বিচারপতির পদে থাকা সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হাকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৭ বছর এবং দুর্নীতি দমন আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। ওই রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, তারা ফার্মার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে দুই ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনের ভুয়া নথি ব্যবহার করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। পরবর্তীতে আত্মসাৎ করা টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়।

যে বিচারকের ক্ষমতা রহিত করেছিলেন প্রধান বিচারপতি
রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা এক মামলায় দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণকে ঘিরে ওঠা বিতর্কের মধ্যে ওই বিচারকের বিচারিক এখতিয়ার রহিত করেন প্রধান বিচারপতি। ওই বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক হিসেবে রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন।

খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে শাফাত আহমেদ, শাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, শাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

গত ১১ নভেম্বর ওই রায় দেন বিচারক। রায়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ওঠা সমালোচনার মধ্যে বিচারিক ক্ষমতা হারান তিনি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, ধর্ষণ প্রমাণে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতার যুক্তি দিয়ে ওই সময়ের পর মামলা না নিতে পর্যবেক্ষণ দেন তিনি। এই নিয়ে ওঠা সমালোচনার মুখে প্রধান বিচারপতি বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক এখতিয়ার রহিত করা হয়। পরে তাকে আদালত থেকে সরিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এরপর দুই বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়া নিয়ে আপিল বিভাগে কামরুন্নাহারকে তলব করে আগে দেওয়া একটি আদেশের বিষয় সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আসে। বিষয়টি গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।

আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ থাকার পরও আসলাম শিকদার নামে এক আসামিকে গত বছরের ২ মার্চ জামিন দিয়েছিলেন বিচারক কামরুন্নাহার। কোন এখতিয়ার বা ক্ষমতাবলে ওই আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন সে ব্যাখ্যা জানতে তখন আপিল বিভাগে তলব করা হয় কামরুন্নাহারকে। ওই তলবাদেশের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে আপিল বেঞ্চে সশরীরে হাজিরা দেন বিচারক কামরুন্নাহার।

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ডে পাঠানোর পর উচ্চ আদালতে ক্ষমা চেয়েছিলেন দুই বিচারক মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করা নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে বিচারকের ব্যাখ্যা দিতে নথি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টে স্ব-প্রণোদিত আদেশের আর্জি জানানো হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন করেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে বিচারিক আদালতের ব্যাখ্যা ও নথি (কেসডকেট সিডিসহ) তলব করেন হাইকোর্ট। আদেশে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়। এছাড়া তিন দফায় রিমান্ডের আদেশ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারকের কাছে ব্যাখ্যাও চায় উচ্চ আদালত।

রিমান্ডে নির্যাতিতের জবানবন্দি গ্রহণ: বিচারককে হাইকোর্টে তলব
হত্যা মামলার আসামি মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে খলু রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়ে হাইকোর্টে দেওয়া লিখিত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় চাঁদপুরের সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. নূরে আলমকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। গত নভেম্বরে এই আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

জানা গেছে লিখিত ব্যাখ্যায় নূরে আলম বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তিনি ভুল করেছেন। তিনি আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক মনে করেনি আদালত। সেজন্য ওই বিচারককে তলব করেছ উচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন: চট্টগ্রামের এক বিচারককে তলব হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনকে তলব করেছিল উচ্চ আদালত। বিদায়ী বছর ২০২১ সালের শুরুর দিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই তলব আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

জানা গেছে, উচ্চ আদালতের আদেশ লংঘনের অভিযোগে আদালত অবমাননার রুল জারি করে চট্টগ্রামের ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনকে তলব করেছিল আদালত।

এমএ/এএন

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর