অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের চলমান অবকাশে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের জরুরি বিষয়াদি নিম্পত্তির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এ ছাড়া হাইকোর্ট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন ১২টি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিজয় দিবস এবং পরবর্তী গত দুইদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে নিম্ন আদালতেও শুরু হয়েছে অবকাশ। তবে এই অবকাশকালীন ছুটির আওতার বাইরে থাকছে দেশের সব জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালত।
অবকাশকালীন চেম্বার জজ মনোনীত করার বিষয়টি আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো: বদরুল আলম ভূঞা। এতে লেখা হয়েছে, ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় আগামী ১৯/১২/২০২১ খ্রি. তারিখ হতে ৩০/১২/২০২১ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটি ও বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত ছুটিসহ কোর্টের চলমান অবকাশকালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরী বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য মাননীয় ভ্যাকেশন জাজ হিসেবে মাননীয় বিচারপতি জনাব ওবায়দুল হাসান মহোদয়কে মনোনীত করেছেন।’
প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিচারপতি মোহাম্মদ আলীকে অবকাশকালীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারিক দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে আরও ১১টি হাইকোর্ট বেঞ্চকে অবকাশকালীন বিচারিক দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সবমিলে অবকাশকালে হাইকোর্টের ১২টি বেঞ্চে হাইকোর্টের বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
এদিকে সারা দেশের নিম্ন আদালতে শুরু হওয়া অবকাশকালীন ছুটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। অবকাশের আওতায় থাকছে দেশের সব দেওয়ানি আদালত, জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। অবকাশকালীন এসব আদালতে বিচারাধীন মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ছুটির আওতার বাইরে থাকছে দেশের সব জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালত।
তা ছাড়া, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল-মামুনকে জরুরি মামলাগুলো নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জরুরি মামলা নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত কে এম ইমরুল কায়েশকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর ডিসেম্বর জুড়ে নিম্ন আদালতে অবকাশকালীন ছুটির প্রচলন ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার সুযোগ করে দিতে চলতি বছর ছুটির মেয়াদ কমিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এমএ/এমএমএ/