খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত শুনানি হয়নি আজ
ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট মামলাটি বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) আদালতের কার্যতালিকায় ছিল। তবে এই মামলার শুনানি হয়নি।
জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত মামলাটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ছিল। অন্যান্য দিনের মতো আজও আদালতে কার্যতালিকার ক্রমানুসারে একের পর এক মামলা এজলাসে উঠছিল। তবে দিনের কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত এই মামলাটি সামনে আসেনি। তাই আজ এই বিষয়ে শুনানিও হয়নি।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ সংক্রান্ত পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, করোনা চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবন্ধনপত্র এবং এসএসসির নিবন্ধনের তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব নথির ওপর শুনানির জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় আসে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন নাহিদ সুলতানা যুথি আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটকারী আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন কোনটা সেটি জানতে চাই। তার ওপর বুধবার শুনানি হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবেদন এসেছে। পাসপোর্ট অফিস থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, ম্যারিজ সার্টিফিকেট, করোনা চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের তথ্য, এসএসসির নিবন্ধনের তথ্য এসেছে। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সেদিনও খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় তার যে জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেটি নিয়ে জনগণ এখন খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিন জানতে চান।
উল্লেখ্য গত ১৩ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি তলব করেছিল হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্টরা হাইকোর্টে এই নথিপত্র দাখিল করেন। এর আগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করা হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ১৩ জুন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জন্মদিনের নথিপত্র তলব করে।
এমএ/এমএমএ/