বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করতে আসছে ২২০০ কোটি টাকার প্রকল্প
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ফটো
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের অনেক কাজই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া পুরো বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করার জন্য আমরা দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো বিচার বিভাগের কর্মদক্ষতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২তলা ‘বিজয়-৭১ ভবন’ উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বহুতল ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন গণভবন ও সুপ্রিম কোর্টের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে একযোগে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারির সেই মহাআতঙ্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা, সুপ্রিমকোর্টের নিরলস পরিশ্রম, আইনজীবীদের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খুবই দ্রুত ভার্চ্যুয়াল আদালত চালু করতে পেরেছিলাম। যা বিশ্বের অনেক বড় বড় ও উন্নত দেশও তখন পারেনি।
২০২০ সালের ২১ মে করোনার ব্যাপক সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আদালতেও সাধারণ ছুটি চলাকালীন আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ নামের ওই অধ্যাদেশে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা যাবে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের দিনগুলোতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানির ব্যবস্থা করার কারণেই জেলখানায় বন্দি আসামিদের অতিরিক্ত চাপ এবং করোনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন (শারীরিক ও ভার্চ্যুয়াল) উভয় পদ্ধতিতে সমান তালে আদালত পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বর্তমান ও সাবেক বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/আরএ/