মদকে মাদকের শ্রেণিভুক্ত করা কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
মাদকদ্রব্য আইনে মদকে শ্রেণিভুক্ত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থসচিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিসোর্ট ও রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, মদ এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যকে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অনেক মাদকদ্রব্য আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য না, যেগুলো বহন করা অপরাধ। অ্যালকোহল আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য। কিন্তু ইয়াবা, আইসসহ আরও অনেক মাদকদ্রব্য আছে যেগুলো নিষিদ্ধ পণ্য। এগুলো আমদানি বা রপ্তানিযোগ্য না।
এই আইনজীবী আরও বলেন, যারা অ্যালকোহল বিক্রি বা আমদানি-রপ্তানি করেন তাদের সমস্যা হয়। তার কারণ এগুলোও তখন মাদকদ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে রিট করা হয়েছে। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে। সুতরাং এই আইনকে একই সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা কেন সংবিধানের ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, আদালতে রিটটি দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আরজে টাওয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড ও ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক।
এমএ/এএস