নতুন এজলাসে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম নবনির্মিত এজলাসে শুরু হয়েছে। পুরাতন হাইকোর্ট ভবন সংলগ্ন নতুন টিনশেড স্থাপনায় নির্মাণ করা এই এজলাসে আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা প্রকাশকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে।
বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আদালতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। তিনি ঢাকা প্রকাশকে বলেন, ‘প্রথম দিনে এজলাসে আজ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এবং দুই সদস্য বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এদিন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী রেজাউল হক মিন্টুর পক্ষে তার আইনজীবী আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর আগে (অন্যদিন) আমরা এই আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলাম।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনজীবী রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের প্রযুক্তিগত দিক ঠিক আছে। তবে সবদিক মিলেয়ে এখনও পুরোপুরি গুছানো হয়নি।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, রেজিস্ট্রার দপ্তরের সব লোকবল, তদন্ত সংস্থার সমন্বয় দপ্তরসহ সব দপ্তরের কার্যক্রমই পরিচালিত হবে নবনির্মিত এই স্থাপনায়। এক কথায় পুরনো ভবনে আর কোনও লোকবলই থাকবে না। সবাই স্থানান্তরিত হবেন নতুন স্থাপনায়।
তবে প্রসিকিউটরগণসহ চীফ প্রসিকিউটর দপ্তরের সব লোকবল আরও আগেই নতুন স্থাপনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে পুরনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়, যা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নামে পরিচিত। পুরনো হাইকোর্ট ভবনে নির্মিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শুরু থেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হয়ে এতদিন চলছিল। মাঝে একই ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি এজলাস নির্মাণ করা হয়। তখন একসঙ্গে দুই এজলাসে বিচারিক কার্যক্রম চলে। তবে পরবর্তীতে শুধু ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। অর্থ্যাৎ শুরু থেকে এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ এ অব্যাহতভাবে বিচারিক কার্যক্রম চলে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে বলেন, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন একটি ঘোষিত পরিত্যক্ত ভবন। ভবনটির সংস্কার করা হবে। সংস্কারের জন্য সাময়িক এই সময়ে ট্রাইব্যুনাল নতুন স্থাপনায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। সংস্কার সম্পন্ন হলে আবার ট্রাইব্যুনাল এই ভবনে ফিরে আসবে।
এমএ/এসআইএইচ/