ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে
মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে 'অশ্লীল' মন্তব্য করায় সদ্য মন্ত্রিত্ব হারনো মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছে বিএনপি। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ আবেদন করেন। মামলায় যে ফেসবুক লাইভে মুরাদের বক্তব্য প্রচার হয়েছে সেই লাইভের উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে আগামীকাল সোমবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহীতেও একই রকম মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আসামিরা ফেসবুক লাইভে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন। ডা. মুরাদ হাসানের প্রদেয় এবং মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ কর্তৃক ধারণকৃত সাক্ষাৎকারটি পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলাটি দায়ের করা হলো।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছেন বলে এই মামলা দায়ের করা হয়।’
এর আগে, সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। অতি সম্প্রতি এক চিত্রনায়িকার সাথে অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মন্ত্রিসভা থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ।
মঙ্গলবার রাতেই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার কানাডায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি। কানাডায় প্রবেশ করতে না পারায় তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি দেশে পৌঁছেছেন কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এমএ/কেএফ/এপি