নিজের আইনজীবীর সনদ বাতিল চান ডেসটিনির এমডি
নিজের আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ করেছেন ডেসটিনির এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। আইনজীবী হয়েও মক্কেলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ এনে তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কারাগার থেকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস এবং বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী, কাউন্সিল সচিব বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আমি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নমিনী পরিচালক এবং ডেসটিনি মাল্টিপারপাজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি; বর্তমানে কলাবাগান থানার ৩২ এবং ৩৩ নং মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে কারান্তরীণ।
‘আমি কারান্তরীণ থাকাবস্থায় আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামকে উক্ত মোকদ্দমায় বিভিন্ন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনজীবী হিসেবে ওকালতনামা সম্পাদনপূর্বক নিয়োগ করি। আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আমার মামলা পরিচালনার নিমিত্তে আমার মামলা সংশ্লিষ্ট বহু গোপনীয় তথ্যাদি গ্রহণ করেন এবং তিনি অদ্যাবধি আমার আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন (মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত ক্রিমিনাল আপিল নং ৭৪৫৯/২০১৫ এবং ৯২৯৫/২০১৫ এবং কোম্পানিম্যাটার নং ১৬৬/২০০৯)।
‘সম্প্রতি আমার (রফিকুল আমীন) নিকট প্রকাশ পাচ্ছে যে, আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম আমার স্বার্থের প্রতিকূলে নিজেকে নিয়োজিত করে কর্ম সম্পাদন করছেন। ওই আইনজীবী ব্যক্তি কর্তৃক আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে আমার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এবং বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের নামে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ১১১০১/২০২১ এবং কোম্পানি ম্যাটার নং ৩০৮/২০২১ দায়ের করেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে নিজেকে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এবং বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের আইন উপদেষ্টা হিসেবে উল্লেখপূর্বক একটি দৈনিক পত্রিকায় ভুয়া ও বেআইনি নোটিশ প্রদান করেন, যা তার আইন পেশার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং আইন পরিপন্থী (ক্যাননস অব প্রফেশনাল কন্ডাক্ট অ্যান্ড এটিকেটের অধ্যায় ৪ এর ধারা নং ১ এবং ২ এর বিধান মতে)।
‘এমতাবস্থায়, আইন পেশার সাথে সাংঘর্ষিক সকল কাজে যুক্ত থাকা ওই আইনজীবীর সকল কার্যক্রম তদন্ত সাপেক্ষে উদঘাটন করার মাধ্যমে বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের সনদসহ সদস্যপদ বাতিলের জোর আবেদন জানাচ্ছি।’
আবেদনে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন রফিকুল আমীন। বার কাউন্সিল সূত্রে আজ এই তথ্য জানা গেছে।
এমএ/এসএ/