সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোনের জামিন প্রশ্নে রায় ১৩ মার্চ
সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকার জামিন প্রশ্নে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এই জামিন চেয়েছেন রাকা। এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আগামী ১৩ মার্চ এই রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আদেশে আগামীকাল মঙ্গলবারের (৮ মার্চ) মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী এএম জামিউল হক ফয়সাল এই তথ্য নিশ্চিত করে জানা, বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৭ মার্চ) এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেডআই) খান পান্না এবং এএম জামিউল হক ফয়সাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনির।
গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রাকার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা পৃথক দুই মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি রুল জারি করেন আদালত। তবে মাদক মামলায় কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।
গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে রাকাকে গ্রেফতার করে র্যাব জানায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি চক্র দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চ্যুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, এমন বিষয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে তৎপরতা বাড়ানো হয়। ভাইকে (কনক সারোয়ার) সাহায্য করতে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকা।
এরপরই রাকার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করে র্যাব।
গত ৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুদিনসহ রাকাকে মোট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিচারিক আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১২ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
এ দুই মামলায় গত ২ নভেম্বর রাকার জামিন বাতিল করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস।
এমএ/এএস