আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিদায় নিলেন ডোনাল্ড লু
ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনি ১৭ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তার বিদায়ের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না। নীরবেই দায়িত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, ডোনাল্ড লুর মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। এদিকে, লু’র বিদায়ের বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, লু’র মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং তাকে সরানো কিংবা বরখাস্ত করা হয়নি।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল পরিচিত মুখ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু দুই দফায় বাংলাদেশ সফর করেন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘সরকার পতনের কারিগর’ হিসেবে বেশ পরিচিত এই মার্কিন কূটনীতিকের বাংলাদেশ সফরের পরপরই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন ডোনাল্ড লু। তখন লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বিবৃতিতে বলেছিল, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে তোলা, কর্মশক্তি বৃদ্ধি, নিরাপত্তা সহযোগিতার উন্নতি, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের যৌথ অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ডোনাল্ড লু’র সেই সফরের আগে, জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ২০২৩ সালে ২২ সেপ্টেম্বর। ওই নিষেধাজ্ঞা ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবেন শুধুমাত্র তাদের জন্য।
সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডোনাল্ড লু আবারও বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার সেই সফরের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, ডোনাল্ড লু ঢাকায় মার্কিন সহায়তাকারী প্রতিনিধি হিসেবে গেছেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন এবং উন্নয়নের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে তাদের সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।