শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যুক্তরাজ্যে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী । ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য তিনি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিশেষ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশি এই রাজনীতিবিদের বিশাল সাম্রাজের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এবারের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে পুননির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। তবে সংসদীয় জমি সংক্রান্ত কমিটির সভাপতির পদে আছেন তিনি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তির রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

সেন্ট্রাল লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে টাওয়ার হ্যামলেটসে আবাসন— যেখানে ইংল্যান্ডের বৃহত্তম বাংলাদেশি কমিউনিটির আবাসস্থল এবং লিভারপুলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন পর্যন্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রায় আড়াইশ প্রোপার্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে ব্লুমবার্গ। এতে দেখা যায়, তার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো যখন এসব প্রোপার্টি কেনে, তখন ব্রিটেনজুড়ে ভয়াবহ আবাসন সংকট চলছিল। তার কেনা বাড়ির প্রায় ৯০ ভাগই ছিল নবনির্মিত।

আর এসব লেনদেন এমন এক সময়ে ঘটেছিল, যখন রাশিয়ার ধনকুবেররা যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পদ সহজে লুকিয়ে রাখতে পারছেন বলে তীব্র সমালোচনা চলছিল। এমন সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্য সরকার সম্পত্তির বিদেশি মালিকানাকে আরও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইউক্রেনে মস্কোর ২০২২ সালের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রক্রিয়া আরও জরুরি হয়ে ওঠে।

রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা আছে এমন লেনদেন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের আইন আদৌ কার্যকর কি না; সাইফুজ্জামান চৌধুরীর এসব সম্পত্তি কেনার ঘটনায় তা নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন উঠতে পারে বলে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকারীরা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনেও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অন্তত পাঁচটি প্রোপার্টির সন্ধান পেয়েছে ব্লুমবার্গ। সেখানকার মিউনিসিপ্যাল প্রোপার্টির রেকর্ডস অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ছয় মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে এসব সম্পত্তি।

গত ডিসেম্বরে প্রাক-নির্বাচনী ঘোষণায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৮ দশমিক তিন মিলিয়ন টাকা (২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার) এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৯৩ হাজার ডলার বলে জানান। বাংলাদেশে সম্পদের ঘোষণাপত্রে তার যুক্তরাজ্যের সম্পদের পরিমাণ দেখাননি সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ২০২২-২৩ সালে মন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড বেতন হিসাবে পান বলে দেখানো হয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও মন্তব্য করেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তবে তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে বসবাসরত অবস্থায় একজন ব্যক্তির বিদেশে সম্পদ অর্জনের কোনও বিধান নেই। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, আমরা ব্যক্তিদের এটা করার অনুমতি দিই না।’’

সাইফুজ্জামান চৌধুরী কিংবা তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের কেউই বাংলাদেশের বাইরে সম্পত্তির মালিকানা অথবা এমপির সম্পদের ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

মার্কিন এই সংবাদমাধ্যম বলছে, ব্রিটেনের ২০১৭ সালের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনে সংজ্ঞায়িত পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসন (পিইপি) ক্যাটাগরিতে পড়েন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। যা যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির এজেন্ট, ঋণদাতা, প্রোপার্টির আইনজীবী এবং অন্যদের ওপর পিইপি শনাক্ত করার পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। এই ব্যক্তিরা সম্পত্তি কেনার মতো ব্যবসায়িক লেনদেনে নিযুক্ত থাকতে পারলেও তাদের বিষয়ে অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করা হয়।

ব্লুমবার্গ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্পত্তি ক্রয়ে জড়িত আর্থিক পরিষেবা এবং আইনি সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করেছে। যে সংস্থাগুলো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা বলেছে, সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে তারা কোনও মন্তব্য দেয়নি।

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যজুড়ে প্রোপার্টিতে বিনিয়োগ করা ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ‘‘সন্দেহজনক তহবিল’’ শনাক্ত করেছে। ব্যাপক দুর্নীতি, ঝুঁকিপূর্ণ বিচারব্যবস্থা এবং দুর্নীতি মামলার সাথে যুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ স্তরের ব্যক্তি ও সম্পদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানায় টিআই।

বাংলাদেশের কর্পোরেট নথির বিশ্লেষণ করে ব্লুমবার্গ বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার কিছু আত্মীয় সরাসরি বা সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে এক ডজনেরও বেশি কোম্পানির ব্যক্তিগত শেয়ারে মালিক বা নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে উঠেছেন। এতে চারটি পাবলিক কোম্পানি রয়েছে; যার মধ্যে আরামিট এবং ইউসিবি রয়েছে। আর এই দুই কোম্পানির সম্মিলিত বাজার মূলধন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার।

তার স্ত্রী রুখমিলা জামান ইউসিবির চেয়ারম্যান এবং আরামিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্পদের ঘোষণায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমন কোম্পানির রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; যেখানে তিনি এবং তার স্ত্রীর শেয়ার রয়েছে।

আরামিট এবং ইউসিবিও এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪৯তম স্থানে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পরপরই কঠোর পুঁজি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ। কিন্তু অতি সম্প্রতি কোভিড-১৯ মহামারী, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে।

ব্লুমবার্গ বলেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কেবল যুক্তরাজ্যে থাকা রিয়েল এস্টেট সম্পদ বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্তত ১ শতাংশের সমান।

Header Ad
Header Ad

জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আহমেদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল-জোলানিকে নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জোলানির মাথার ওপর যে ১ কোটি ডলারের পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল- যুক্তরাষ্ট্র তা তুলে নিয়েছে।

আল জাজিরার খবর প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য দামেস্কে গেছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। সেখানে সিরিয়ার নতুন নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরেই এমন ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা বার্বারা লিফ।

লিফ বলেন, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সিরিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় ভালো বার্তা পাওয়া গেছে। এরপরেই জোলানির মাথার ওপর ১ কোটি ডলারের যে পুরস্কার তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া আলোচনায় সিরিয়ার কোনো গোষ্ঠী যেন বহির্বিশ্বের জন্য হুমকি না হয়ে উঠতে পারে- এ বিষয়ে জোর দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।

এইচটিএসের আন্দোলন ও আক্রমণের নেতৃত্বে গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটে। মাত্র ১২ দিনের ঝড়ো আক্রমণে আসাদ সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই সেখানের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য সিরিয়ায় যায় মার্কিন প্রতিনিধিদল।

Header Ad
Header Ad

জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮  

সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তালেব এ (৫০)। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়িচাপায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৬৮ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

দেশটির কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক চালককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জার্মান পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটককৃত ব্যক্তি সৌদি আরবের নাগরিক। ২০০৬ সালে থেকে তিনি জার্মানিতে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি বার্নবার্গে একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

জার্মানির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তালেব এ (৫০)। তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরব এই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওলাফ শলৎজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ভিড়ের মধ্যে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার আগে গাড়িটি দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। এরপরেই ভিড়ের মধ্যে উঠিয়ে হামলা চালান তিনি।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনকারী ব্যক্তি একাই এই হামলা চালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই যে এই হামলায় অন্য কেউ জড়িত আছে। তবে এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থাকা জ্যোতির কোথাও ঠাই হচ্ছেনা

অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। আওয়ামী লীগপন্থি এই অভিনেত্রী ‘আলো আসবেই’ নামের এক বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বেশ সক্রিয় ছিলেন। তাই গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিপাকেই পড়েছেন তিনি।

‘আলো আসবেই’ গ্রুপে থাকা ‘শিল্পী’দের বেশিরভাগই এখন ‘সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই একপ্রকার গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন জ্যোতি। সরকার পতনের পর শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে সেসময় ছাত্র আন্দোলনের সপক্ষের শিল্পীদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে।

সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এক সিনেমায় কাস্টিং করল, পরিচালক বাসায় এসে গল্প শোনালেন, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুটিং। চরিত্র নিয়ে ভাবনা শুরু হলো, অনেকদিন পর শুটিং করব, ভালোলাগা শুরু হলো। অফিসিয়াল ফরমালিটিস কমপ্লিট করতে হবে এমন কথা হলো, তার ৩ দিন পরই পত্রিকায় দেখলাম এক বিদেশি অভিনেত্রীকে কাস্টিং করা হয়েছে আমার জায়গায়!’

‘ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হবে, সেখানে কোনো না কোনো দায়িত্বে থাকার কথা ছিল। আগেও ছিলাম। পরে শুনলাম দায়িত্ব তো দূরের কথা, ফেস্টিভ্যালে আমি না গেলেই নাকি ভালো! এক আপার মেয়ের বিয়ে। গায়ে হলুদ, রং খেলা, বিয়ে, বউভাত। কতশত প্ল্যান! আরেক আমন্ত্রিত অভিনেত্রী গেস্ট বললেন জ্যোতিকা জ্যোতি এলে তিনি আসবেন না-যোগ করেন তিনি।

এখন নিজের বাসস্থান নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন জানিয়ে জ্যোতি আরও লিখেছেন, ‘এপ্রিলে এক নতুন বাসায় শিফট করলাম। আমার কুকুর আছে বলে নিলাম। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন কোনো সমস্যা নেই। বরং আমার পরিচয় তার বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে তাকে আরও গর্বিত করবে বলে জানালেন। জুলাইয়ে যখন দেশে তুমুল গণ্ডগোল তখন বড়িওয়ালা বললেন আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব তার। আগস্টের ৬ তারিখ জানালেন, আমাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তাই আমি যেন কুকুর নিয়ে বাসার নিচে না যাই। তবে তার কথায় মনে হলো বাসা ছেড়ে দিলেই ভালো।’

অবশেষে বাড়িওয়ালা একদিনের নোটিশে বের করে দিলেন উল্লেখ করে জ্যোতি লিখেছেন, ‘১৬ আগস্ট আমাকে ফোন করে বললেন আমি যেন আগামীকালই বাসা ছেড়ে দিই। তিনি কিছুতেই আমাকে সময় দিতে রাজি না। এক দিনের মধ্যে ওই বাসায় মালপত্র রেখে আমি আমার কুকুর নিয়ে একটি গেস্ট হাউজে প্রায় ১৩ দিন থেকে নতুন বাসা নিলাম। আমার এক বন্ধুকে পাঠিয়ে মালপত্র সরালাম দিন দশেক পর। কিন্তু তিনি আমার ২ মাসের এডভান্স ফেরত দিলেন না।’

প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জ্যোতি আওয়ামী লীগের দলীয় পদের পাশাপাশি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকের পদেও ছিলেন। তবে সরকার পরিবর্তনের পর শিল্পকলার চাকরি হারাতে হয়েছে তাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮  
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থাকা জ্যোতির কোথাও ঠাই হচ্ছেনা
সাগরে নিম্নচাপ, সমূদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
আজ রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্ট, বিনা পারিশ্রমিকে উপস্থাপনা করবেন দীপ্তিও
গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, গত ২৪ ঘন্টায় নিহত আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি
৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  
নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেইসবুক পোস্টে ভারতের ‘তীব্র প্রতিবাদ’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় আ’লীগ নেতা
যমুনা রেল সেতু জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে উদ্বোধন: রেল সচিব
টাঙ্গাইলে গ্রামীণ ‘নারীদের রান্নার প্রতিযোগিতা’ 
দেড় মাসে ৫০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা ২৫ লাখ
খ্যাতনামা নির্মাতা সি বি জামান আর নেই
হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড
নদী থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাগিনীরা