দীর্ঘ দাড়ি রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মার্কিন নারী
এরিন হানিকাট ছবি: সংগৃহিত
সম্প্রতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন নারী। মার্কিন ওই নারীর নাম হলো এরিন হানিকাট। তার বয়স ৩৮ বছর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নারীদের দাড়ি গজানোর বিষয়টি খুবই বিরল হলেও একেবারে যে নেই তা কিন্তু নয়। মূলত পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামে একটি রোগের কারণেই এরিনের দাড়ি এত বড়। অবশ্য তিনি প্রতিদিন তিনবার দাড়ি কামাতেন। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরেই তিনি দাড়ি কামানো বাদ দিয়ে তাঁর দাড়ি লম্বা করেছেন।
হানিকাট জানান, 'আমি কখনই ভাবিনি যে আমি এমন একটি লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব যা আমাকে একটি বইয়ে থাকতে দেবে, এবং এটি স্বীকৃত হওয়া একটি চমৎকার জিনিস, যদিও এটি এমন কিছু যা আমার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। '
হানিকাট জানান, 'মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই তার মুখে দাড়ি গজাতে থাকে। এর পর থেকে তিনি নানাভাবেই দাড়ি ছাড়া থাকার চেষ্টা করেছেন। শেভ করা, ওয়্যাক্সিং, হেয়ার রিমুভাল—এমন কোনো উপায় নেই যা তিনি ব্যবহার করেননি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।'
হানিকাট আরো বলেন, ‘এমন একটা সময় ছিল—যখন আমি দিনে তিনবার শেভ করতাম।' তবে ইরিনের দাড়ি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক; তিনি কোনো হরমোন বা সম্পূরক গ্রহণ করেন না।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দেওয়া তথ্যানুসারে, এরিন হানিকাটের দাড়ির বর্তমান দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৮ ইঞ্চি বা ৩০ সেন্টিমিটার। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামে একটি রোগের কারণেই এরিনের দাড়ি এত বড়।
কিশোরী বয়সে বিষয়টি শুরু হলেও এরপর থেকে ৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি নিয়মিত শেভ করা, ওয়্যাক্সিং, হেয়ার রিমুভালের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন দাড়ির হাত থেকে বাঁচতে। কিন্তু একপর্যায়ে এসবে বিরক্ত হয়ে যান তিনি এবং অবশেষে দাড়ি কাটা ছেড়ে দেন একেবারে। তখন থেকেই বাড়তে থাকে তাঁর দাড়ি এবং দৈর্ঘ্যে তা ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে যায়।
এর আগের রেকর্ডটি ছিল ভিভিয়ান হুইলার নামের ৭৫ বছর মার্কিন নারীর। তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ২৫ সেন্টিমিটার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ এরিন হানিকাটের দাড়িকে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ি বলে স্বীকৃতি দেয়।
ভিভিয়ান হুইলার এবং হারনাম কৌরের মতো অন্যান্য দাড়িওয়ালা মহিলাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইরিন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস পরিবারে যোগদান করেছেন। আশা করি তার গল্প PCOS-এ আক্রান্ত অন্যান্য মহিলাদের আত্মবিশ্বাসকে অনুপ্রাণিত করবে।