অ্যামিবার সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তির মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ‘মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবা’র সংক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মগজ খেকো এই অ্যামিবা নেগেলেরিয়া ফাউলেরি নামে পরিচিত। শুক্রবার (৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা বিরল মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওই ব্যক্তি কলের পানি দিয়ে নাক পরিষ্কারের পর মস্তিষ্ক খাওয়া এই অ্যামিবাতে সংক্রমিত হন বলে ধারণা করছেন দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নেগেলেরিয়া ফাউলেরি নামে পরিচিত এই অ্যামিবা নাক দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পানির মাধ্যমে এটি পান করা বিপজ্জনক নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাবিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুসারে, এই সংক্রমণ প্রায় সবসময়ই মারাত্মক। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।
ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য দপ্তরের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন রোগী ‘সম্ভবত সাইনাস ধুয়ে ফেলার অভ্যাসের কারণে’ ট্যাপের পানির ব্যবহার করে সংক্রামিত হয়েছেন। আর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অঙ্গরাজ্যটির স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সংক্রমণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মুখপাত্র জে উইলিয়ামস বলেছেন, ‘এই সংক্রমণ কীভাবে ঘটেছে তা জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন’ একাধিক সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা।
বিবিসি বলছে, অ্যামিবা সাধারণত সুইমিং পুল, হ্রদ ও পুকুরের মতো উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। এটি নাক দিয়ে প্রবেশ করলে মানুষের মস্তিষ্কে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে, তবে এটি সাধারণত মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে সেটিকে নিরাপদ বলেই মনে করা হয়। কারণ পাকস্থলীর অ্যাসিড একক কোষের এই অণুজীবকে মেরে ফেলে।
প্রাইমারি অ্যামেবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস নামে এর রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, বিভ্রান্তি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, খিঁচুনি অথবা হ্যালুসিনেশন।
এসএন