রাইটসভিল সৈকতে প্রথম আগমন দিবস পালিত
খ্রিষ্টধর্মীয় ‘এপিফানি’ উৎসবে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটন শহরের নিউ হ্যানোভার কাউন্টির রাইটসভিল টাউনের রাইটসভিল সাগর সৈকতে ধমীয় সাঁতার কেটেছেন দুই শতাধিক পূণ্যার্থী খ্রিষ্টভক্ত, তাদের মধ্যে ৫০জন শিশুও রয়েছে। এই সাঁতারের মাধ্যমে তারা ‘আগমন দিবস’ পালন শুরু করেছেন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ‘গ্রিক ক্রস’ নামের নানা পর্বের ধর্মীয়ভাবে পূণ্যস্থান এই সাগর সৈকতে সাঁতার কাটা সারা বিশ্বের গ্রিক অর্থডক্স খ্রিস্টানদের একটি জনপ্রিয় ও বিশেষ পূণ্যলাভের কাজ।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) এই সাগরে নামার জন্য ১২ জন রেজিস্ট্রার ডাইভার ছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল, এই আন্তর্জাতিক উপকূলবর্তী পানিপথে ফাদার স্টিভেন ক্রোল্ডের ফেলে দেওয়া ক্রুশটি পুনরুদ্ধার করা। ধর্মীয় রীতি অনুসারে যিনি ক্রুশটি পুনরুদ্ধার করবেন, তার মাধ্যমে এই বছরের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আসবে।
বরাবরের মতো উদ্ধারকারীকে রবিবার (৮ জানুয়ারি) ম্যানহাটনের দি সেন্ট নিকোলাস গ্রিক অর্থডক্স গিজার বেদিতে একটি বিশেষ প্রার্থনা সভার মাধ্যমে আর্শীবাদ করা করা হয়েছে।
‘এপিফানি’ নামের এই ধর্মীয় আচার জর্দান নদীতে প্রভু যিশুকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা দান উৎসবের স্মৃতিরক্ষার্থে পালন করা হয়। গ্রিক অর্থডক্স খ্রিস্টানদের বহুকালের রক্ষা করা একটি ধর্মীয় উৎসব এটি। ‘এপিফানি’ নামের শিশু প্রভু যিশুর ম্মরণোৎসবের পালনীয় এই ধর্মীয় আচারগুলোর শুরু হয়েছে হাজার বছরেরও আগে। বিশ্বের নানা স্থানে নানাভাবে এই উৎসবের পালন চলছে।
ফাদার স্টিভেন ক্রোল্ডের মতে, যেসব গ্রিক অর্থডক্স খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাসে এই সাগর উপকূল সাঁতরান, তারা অশেষ পূণ্য লাভ করেন।
উইলমিংটন নামের এই বন্দর শহরের রাইটসভিল সাগর সৈকতের এপার থেকে ওপারে সাঁতরানোর প্রথম আয়োজনটি করা হয়েছে ২০০১ সালে। তারা সাগরের চারটি মাইল পাড়ি দিয়ে যান ওপারের হারবার আইল্যান্ডে। আয়োজন করেছেন সেবার ফাদার রিগিস অ্যালেক্সোউডিস। তিনি ২০২১ সালের ইহকাল ত্যাগ করেন।
ওএফএস/এএস