যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তুষারঝড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তুষার ঝড় ও অত্যন্ত ঠান্ডায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সারাদেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কানাডায় বরফে ঢাকা রাস্তায় একটি বাস উল্টে গেলে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহর। এখানকার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শীতকালীন এই ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে ঝড় কমবে, তবে অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কয়েকদিনের ঝড় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্ল্যাকআউটের পর ১৭ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলেন। তবে রবিবার বিকেলের পর তা নেমে দুই লাখে দাঁড়িয়েছে। তবে বিমান চলাচল শুরু হয়নি। হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বড়দিনের উৎসবে তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। রবিবার সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ সতর্কতার মধ্যে ছিল।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, ‘এবারের ঝড় বাফেলোর ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাফেলোতে যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গাড়ির ভেতর এবং তুষারআবৃত রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস ও কলোরাডোতে ঠান্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মন্টানায় তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে কানাডার কিউবেক ও অন্টারিওর মানুষের জনজীবনের উপরও প্রভাব ফেলেছে এ ঝড়। রবিবার কিউবেকের ১২ হাজার গ্রাহকের ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
এসএন