মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকছে ডেমোক্র্যাটদের হাতেই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই থাকল। মধ্যবর্তী নির্বাচনে নেভাদায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিজয়ের মধ্যে দিয়ে এটি নিশ্চিত করল ডেমোক্র্যাটরা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ কোন দলের দখলে এটি এখনো স্পষ্ট নয় বলেও জানানো হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেভাদায় জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্টো। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক অ্যাডাল্ট ল্যাক্সাল্ট।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক দলের আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। আর রিপাবলিকানরা জয় পেয়েছে ৪৯টি আসনে। এ ছাড়া নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে এখন পর্যন্ত ২১১টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা জয় পেয়েছে ২০৪টি আসনে। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১৮টি আসন। ফলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রিপাবলিকানদের হাতেই যাচ্ছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে লাখ লাখ আমেরিকান ভোট দেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের চাঙা করতে চূড়ান্ত প্রচারাভিযানেও অংশ নেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকে মার্কিন নাগরিকরা। মূলত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি ও বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ দখল করার প্রত্যাশা করেছিল রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্রে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন ও ট্রাম্পের ব্যালট নেই। এটি শুধু কংগ্রেসের নির্বাচন। যেটির দুটি অংশের মধ্যে একটি হলো হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ, অপরটি সিনেট। সংসদীয় এই ভোট প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর হয়। প্রেসিডেন্টের ৪ বছরের মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে হয় বলে এটিকে মধ্যবর্তী মেয়াদের নির্বাচন বলা হয়।
গত দুই বছর ধরে ডেমোক্র্যাটরা হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে কাজ করছে। যেটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যেকোনো আইন পাসে সহায়ক হয়।
এসএন