সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কীভাবে শেষ হতে পারে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ?

যুদ্ধের দামামা চারিদিকে, গোলা আর বারুদের গন্ধ। এসবের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন ইউক্রেনবাসী। দিন গুনছেন আগ্রাসনের সমাপ্তির। হাজার হাজর মানুষ প্রাণভয়ে ছেড়েছেন নিজ ভূমি। রণভূমি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, নানা জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে এখন একটাই ভাবনা এ যুদ্ধের অবসান কোথায়? কীভাবে থামানো যাবে রুশ আগ্রাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ভূমিকা রাখতে পারে সম্ভাব্য এমন পাঁচটি বিষয় নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করেছেন বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক জেমস ল্যান্ডেল।

সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ:

ধরে নেওয়া যাক যুদ্ধ খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। যদি তাই হয়, তাহলে রাশিয়া তার সামরিক অভিযান বাড়াবে। ইতিমধ্যে আমার সেটা দেখতে পাচ্ছি। ইউক্রেন জুড়ে নির্বিচারে কামান এবং রকেট হামলা চলছে। রাশিয়ান বিমান বাহিনী এখনও পর্যন্ত ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করেনি। তবে ইউক্রেনের জাতীয় অবকাঠামতে ব্যাপক সাইবার আক্রমণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। বেশ শক্ত প্রতিরোধ সত্ত্বেও কিয়েভের পতন হলে ইউক্রেনে মস্কোপন্থী একটি পুতুল শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলেনস্কিকে হয় হত্যা করা হবে, নয়তো সে পালিয়ে যাবে। পুতিন বিজয় ঘোষণা করবেন, রুশ বাহিনীর কিছু অংশও প্রত্যাহার করবেন। হাজার হাজার উদ্বাস্তু পশ্চিমে পালাতে থাকবে। আর ইউক্রেন বেলারুশের মতো মস্কোর সহযোগী রাষ্ট্র হিসাবে রয়ে যাবে।

এমন কিছু ঘটা অসম্ভব নয়, তবে তা নির্ভর করবে আরও কয়েকটি বিষয়ের ওপর। যেমন, রাশিয়ান বাহিনী আরও জোরাল পারফরম্যান্স। ইউক্রেনের লড়াই করার মনোবল ভেঙ্গে যাওয়া। পশ্চিমাদেশগুলো কিয়েভের সমর্থন থেকে সরে গেলে, পুতিনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে রাশিয়াপন্থী সকার প্রতিষ্ঠা হলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হবে, যা বিদ্রোহে রুপ নেবে। ফলাফল হিসেবে আস্থিতিশীল এবং সংঘাত পূর্ণ একটি পরিবেশ বিরাজ করবে। 

দীর্ঘ যুদ্ধ:

এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হতে পারে অপর্যাপ্ত রসদ এবং অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে রুশ বাহিনীর মনোবল দুর্বল হয়ে পড়লো। কিয়েভের মতো শহরগুলিকে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে আরও সময় লেগে গেল। ৯০ এর দশকে যেমনটি ঘটেছিল চেচনিয়ায়। চেচনিয়ার রাজধানী গ্র্রজনি দখল ছিল রাশিয়ার দীর্ঘ এবং নৃশংস সংগ্রাম, যার প্রতিচ্ছবি ইউক্রেনে রয়েছে।

ধরে নিলাম রাশিয়া বাহিনী ইউক্রেনের কিছু শহরের দখল নিল। তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল। তবে এত বিশাল দেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন করতে পারলো না। এদিকে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে একটি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমর্থ হলো। সেখানে পশ্চিমারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকলো। অবশেষে বেশ কয়েক বছর পর রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেন ছেড়ে চলে গেল। সেই ৯০ এর দশকের মতো, এক দশক যুদ্ধ করার পর সোভিয়েত ইউনিয়নকে যেভাবে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছিল।

ইউরোপের যুদ্ধ: 

এ যুদ্ধ কি ইউক্রেনের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে? মোলদোভা এবং জর্জিয়ার মতো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ কি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন পুতিন? যারা ন্যাটোর অংশ নয়। অথবা পুতিন হিসাবে ভুল করে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের আস্ত্র সরবারহকে আগ্রাসন ভেবে নিতে পারেন। আর এর প্রতিউত্তরে বালটিক রাজ্যেগুলোর মধ্যে লিথুনিয়াতে সৈন্য পাঠানোর হুমকি দিতে পারে? যেহেতু বাল্টিক ন্যাটোর সদস্য। আর রাশিয়া বাল্টিকের নিয়ন্ত্রণ নিলে উপকূলীয় ছিটমহল কালিনিনগ্রাদকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

আর এখানে যুদ্ধ ন্যাটো বাহিনীর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভয়ঙ্কর হতে পারে। ন্যাটো সামরিক জোটের সনদের ৫ অনুচ্ছেদে অনুসারে ন্যাটোর একজন সদস্যের ওপর হামলা মানে সবার ওপর হামলা। তবে পুতিন তার নেতৃত্বকে বাঁচাতে এ ঝুঁকি নিতে পারেন, যদি তিনি ইউক্রেনে পরাজিত হন। ইউক্রেনে পরাজয় পুতিনকে ইউরোপে যুদ্ধের মদদ দিতে পারে। রাশিয়ান নেতা আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারে। পুতিন তার পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ স্তরের সতর্কতার মধ্যে রেখেছেন। বিশ্লেষকদের ধারনা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার আসন্ন। 

কূটনৈতিক সমাধান: 

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কি কূটনৈতিক সমাধান হতে পারে? জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বন্দুক এখন কথা বলছে, কিন্তু সংলাপের পথ সবসময় খোলা থাকতে হবে। সংলাপ কিন্তু চলছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ফোনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কূটনীতিকরা বলছেন, রাশিয়ান এবং ইউক্রেন কর্মকর্তারা বেলারুশ সীমান্তে আলোচনার জন্য বসেছেন। আলোচনা খুব বেশিদূর এগোয়নি। কিন্তু আলোচনায় রাজি হয়েছেন পুতিন। অর্থাৎ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে একেবারে নাকোচ করেননি পুতিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন কোথায় থামতে হবে ভ্লাদিমির পুতিন জানেন। রুশ নেতা জানেন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে কোন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

একটি কাল্পনিক দৃশ্য, ধরুন যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনল। নিষেধাজ্ঞার ফলে মস্কোতে অস্থির অবস্থা শুরু হলো। পুতিন হয়তো ভাবছেন যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার লজ্জার চেয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া তার নেতৃত্বের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। এদিকে চীন হয়তো আপোষের জন্য মস্কোকে চাপ দিতে থাকল। আগ্রাসন থেকে সরে না আসলে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনবে না চীন। তাই পুতিন একটি উপায় খুঁজতে শুরু করলেন। অন্যদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ধ্বংস, প্রাণহানির চেয়ে রাজনৈতিক সমঝোতাকে এ যুদ্ধের অবসানে যথোপযুক্ত সমাধানের পথ হিসেবে বিবেচনা করল। তাই কূটনীতিকরা যুক্ত হলেন একটি চুক্তির জন্য। চুক্তিতে ইউক্রেন ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের কিছু অংশের উপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নিল। এর পরিবর্তে পুতিন ইউক্রেনের স্বাধীনতা এবং ইউরোপের সাথে ইউক্রেনে সম্পর্ক গভীর করার বিষয় অর্থাৎ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেবে। এমনটি হয়তো ঘটবে না। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও ধ্বংসাবশেষ থেকে বাঁচতে এমন একটি সম্ভবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া য়ায় না। 

পুতিন ক্ষমতাচ্যুত:

আক্রমণের সময় ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, 'আমরা যেকোনো ফলাফলের জন্য প্রস্তুত।' যদি এমন হয় যে পুতিন ক্ষমতা হারাচ্ছেন! এটা অকল্পনীয় হতে পরে কিন্তু এমনটা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।

লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক লরেন্স ফ্রিডম্যান তার এক লেখায় বলেছেন, 'এখন কিয়েভের মতো মস্কোতেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

কেন তিনি একথা বললেন? সম্ভবত পুতিন একটি বিপর্যয়কর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার রুশ সৈন্য মারা যেতে পারে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আরও বিপর্যস্ত হতে পারে রাশিয়া। ফলে জনসমর্থন হারালেন পুতিন। তার জনপ্রিয়তা কমে গেল। দেশের অভ্যন্তরে পুতিন বিরোধী বিদ্রোহ শুরু হলো আর সেই বিরোধিতাকে দমন করতে তিনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেন। ফলে রাশিয়ার সামরিক, রাজনীতি ও অর্থনৈতিক শক্তি তার বিরুদ্ধে চলে গেল। এদিকে পশ্চিমারা যদি প্রস্তাব দেয় যে, পুতিন সরে গেলে তার পরিবর্তে কোনো মধ্যপন্থী নেতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। ফলে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুতিন ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এমনটি হতে পারে এটা মনে হচ্ছে না?

উপসংহারে এটা বলা যায় যে, পরিস্থিতি যাই ঘটুক তার পেছনে অনুঘটক গুলোই নিয়ে যাবে কোন একদিকে। যা এখনও নিশ্চত নয়। পরিস্থিতি নির্ধারন করবেন পুতিন নাকি পশ্চিমা পরাশক্তি? দুই পরাশক্তি কিভাবে পৌঁছাবে সমাধানে?

কেএফ/

 

Header Ad

ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক

মোস্তফা আমীন। ছবি: সংগৃহীত

‘বিনা সুদে এক লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন দেওয়া অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।

‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এজন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে।’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশ নামের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনকে আটক করে পুলিশ।

এসব অসহায় মানুষদের বলা হয়েছিল সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হবে, যেখানে ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত ঢাকায় একটি সমাবেশ করার উদ্দেশ্যেই এরকম প্রলোভন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সভায় আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তাফা আমিন নামে এক ব্যক্তির মিটিং আছে সকাল ১০টায়। এ কথা বলে তাদের ফরম পূরণ করিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। মোস্তাফা ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, এনজিও সংস্থার পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ব্যক্তি মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। যারা বলেছেন, ঢাকায় গেলে বিনা সুদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। অনেকের কাছ থেকে এ জন্য ১ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা গাড়িতে করে ঢাকায় এসেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ও আশপাশের এলাকা থেকে সমাবেশে লোক জড়ো করার উদ্দেশে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। সেখানে সোমবার সমাবেশের কথা জানানো হয়।

ঢাকায় আসা মানুষের কাছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট পাওয়া যায়। তাদের হাতে ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব’।

জানা গেছে, বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার নামে ঢাকায় সমাবেশে লোকজন জড়ো করার নেপথ্যে কাজ করেছেন ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক ও অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক আ ব ম মোস্তাফা আমীন ও সদস্য সচিব মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

সংগঠনের নেতারা কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছিলেন। মোস্তাফা আমীন গত ১৫ নভেম্বর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগ মোড়ে, সকাল ১০টায়। ইতিহাসে নাম লিখান।’

Header Ad

সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি

ফাইল ছবি

অবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজের চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজের চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের কাছে শুধুমাত্র চলাচলের জন্য পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে। তবে কখন দ্বীপে যাবে সেটি চূড়ান্ত করবে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি।

মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, আগামী ২৭ নভেম্বর তারা কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কোন জায়গা থেকে জাহাজ ছাড়বে। আপাতত কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে নাফ নদী অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। ফলে ইনানী অথবা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

Header Ad

আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান

মুস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামের প্রথম পর্বে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না। তবে অ্যাক্সিলারেটেড নিলাম বা দ্রুতগতির নিলামে টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম উঠেছিল। কিন্তু কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে অবিক্রীতই থাকলেন গেল আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল মাতানো দ্য ফিজ। তার ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।

আইপিএলের গত আসরে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকায় পুরো আসরে খেলতে না পারলেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। মাত্র ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর এমন পারফরম্যান্সের পরও ভাবা হচ্ছিল দল পেতে যাচ্ছেন এই পেসার।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল মুস্তাফিজের। এরপর মুম্বাই, রাজস্থান, দিল্লি ও চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলেন ৫৭টি ম্যাচ। বল হাতে নিয়েছেন ৬১ উইকেট। সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন ২০১৬ সালে। সেসময় ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরস্কার জেতেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা