বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভারতের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শুল্কনীতির অংশ হিসেবে ভারতসহ একাধিক দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে) মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর এই নীতি থেকে ভারতও বাদ যাচ্ছে না।

ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ এপ্রিল থেকে। তার ভাষায়, "আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে, কিন্তু অনেকেই ভাবতে পারেন এটি এপ্রিল ফুলের একটি কৌশল। তাই ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক চালু করব।"

শুধু ভারতই নয়, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশ আমাদের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে আসছে। এবার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারতসহ অন্যান্য দেশ আমাদের পণ্যে যত শুল্ক বসাবে, আমরাও তাদের পণ্যে ততটাই শুল্ক আরোপ করব।"

ভারতের বিষয়ে আলাদাভাবে মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, "ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একেবারেই ন্যায়সংগত নয়। কখনোই ছিল না।" তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের ন্যায্য সুবিধা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প তার নীতির বিষয়ে যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন, তা আরও একবার প্রমাণ হলো এই ঘোষণার মাধ্যমে। এর আগেও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কোনোভাবেই নমনীয় হবেন না এবং ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি অনুসরণ করবেন। অর্থাৎ, যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যত বেশি শুল্ক বসাবে, যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যের ওপর সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে।

শুল্কের পাশাপাশি বাণিজ্য বাধা সৃষ্টির বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, "কেউ যদি শুল্কের পরিবর্তে অন্য কোনো বাণিজ্যিক বাধা তৈরি করে, তাহলে আমরাও একই ব্যবস্থা নেব।"

বিশ্ববাজারে বাণিজ্য নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই কঠোর অবস্থানের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভারতসহ অন্যান্য দেশের প্রতিক্রিয়ার দিকেও এখন নজর রাখছে বিশ্ব অর্থনীতি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, ইকোনমিক টাইমস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন

রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ভাষানটেকে বিআরপি বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেলা ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি ও সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রাত ৩টার দিকে এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  

ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্বজনদের দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (০৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনূর কবির গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার এম এ মালেক ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পুলিশ জানায়, আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় আহত ও নিহতদের স্বজনেরা একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। এমন চারটি মামলার আসামি এম এ মালেক।

মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অবশেষে বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শাহীনূর কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আশুলিয়া থানার ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক সংসদ এম এ মালেককে বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধামরাই ও আশুলিয়া থানায় চারটি হত্যা মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রিমান্ড চেয়ে তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন । ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ মামলায় মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের অনুমিত দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ড স্থগিত করা হয়। পরে মামুন আপিল করেন। গত মঙ্গলবার এ আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জশিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামে ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন
সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  
৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  
বসুন্ধরা এলাকায় হামলা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম  
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র  
প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে নারীদের মশাল মিছিল  
সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন  
প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড  
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ তালুকদারের পদ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: স্নাতক পাশ না করেও পেল প্রথম শ্রেণীর চাকরী  
সরকারি যানবাহনের চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করছে : ডিএমপি  
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলে পাহাড়ের লাল মাটি কাটার অভিযোগে লাখ টাকা জরিমানা  
জাতিসংঘ মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয়, তবে বিচার হতে হবে : ভলকার তুর্ক  
রমজানে চুয়াডাঙ্গায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন: ক্যাব
পবিত্র রমজানে কুবিতে মিলছে ১০ টাকায় ইফতার
নিত্যপণ্যের দাম আগের বছরের চেয়ে বাড়েনি: অর্থ উপদেষ্টা  
জোটে যাবে না এনসিপি, ৩০০ আসনে দেবে প্রার্থী