বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানল ক্রমেই অবনতি ঘটাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই দাবানলে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০ লাখের বেশি মানুষ জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে দাবানলের তীব্রতা এবং টর্নেডোর ঝুঁকি পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে।

৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া দাবানলটি মূলত প্যালেসেইডস এবং ইটন অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যা নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের আড়াই গুণ বড়। এতে অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস এবং ৫৭ হাজারের বেশি অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে সান্তা অ্যানা নামের শক্তিশালী ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কমলেও তা আবার বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বাতাসের তীব্রতা এবং শুষ্ক পরিবেশ মিলে একটি বিশেষ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা নতুন দাবানলের জন্ম দিতে পারে।

ইউসিএলএর একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দাবানলের ভয়াবহতা বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব। গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ একে আরো তীব্র এবং জটিল করে তুলছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দাবানল থেকে নিজস্ব আবহাওয়া সৃষ্টির ফলে টর্নেডোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত বিরল এবং বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞ টড হল সতর্ক করেছেন, এই চরম আবহাওয়ায় শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় দাবানল নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো গুরুতর এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

দাবানলের প্রভাবে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার ও বিএসএফের সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ পদযাত্রা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড় বিজয়স্তম্ভ থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে এ পদযাত্রার সূচনা হয়। কর্মসূচি শুরুর আগে সীমান্তে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পদযাত্রার মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে, যার মধ্যে সীমান্ত হত্যার আন্তর্জাতিক বিচার, মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে চুক্তি, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ফেলানীর নামে আবাসিক ভবনের নামকরণ এবং প্রান্তিক এলাকার জীবনমান উন্নয়নের পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত। পদযাত্রার অংশ হিসেবে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে, যা শেষ হবে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে শহীদ ফেলানীর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বিচার এখনো শেষ হয়নি। ওই হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলানীর দেহ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল, যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আতিক মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কৌলাস চন্দ্র রবিদাস, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ অংশ নেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক রিফাত রিদওয়ান, সমন্বয়ক মুবাসসিরুল, সমন্বয়ক ইব্রাহীম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

এই কর্মসূচি সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবি ও মানবাধিকার রক্ষায় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

Header Ad
Header Ad

দুদকের ৪ মামলা

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব-২ (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকু। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব-২ (এপিএস) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের গল্পটি যেন এক রূপকথার মতো। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে মাত্র ৫,১০০ টাকা বেতন নিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান। ২০১৪ সালে এপিএস হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির পরিধি আরও বিস্তৃত হয়।

অভিযোগ উঠেছে, নিজ নামে সম্পদ কম দেখিয়ে বেনামে গড়ে তুলেছেন অধিকাংশ অবৈধ সম্পদ। এ ছাড়া ভিয়েতনামে শত কোটি টাকা পাচার করেছেন, শ্যালককে সেই দেশের ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে পালিয়ে শ্যালক-দুলাভাই দেশটিতে বিলাসী জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঁচ হাজার ১০০ টাকা বেতন দিয়ে গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু) কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি এপিএস হিসাবে পদোন্নতি পান। এরপর দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। শুধু নিজের নামে নয়; স্ত্রী, শ্যালক ও আত্মীয়-স্বজনের নামে বিঘার পর বিঘা জমি এবং ডজনখানেক বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সরকার পরিবর্তনের পর যেগুলোর সন্ধান মিলছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা অনুসন্ধানেও তার বিরুদ্ধে কয়েক-শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। বাস্তবে যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তার নিজ ও আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় কমিশন থেকে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে লিকু। ছবি: সংগৃহীত

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কর অঞ্চল-৪ এর করদাতা গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু)। মোট ভাই পাঁচজন। ২০২৩ সালে এপিএস হিসেবে বাদ পড়ার পর সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। সেখান থেকে ভিয়েতনামে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

তার আয়কর ফাইলে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে মূল বেতন ৬৭ হাজার ১০ টাকা, নিট আয় নয় লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৪ টাকা এবং নিট সম্পদ এক কোটি চার লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। আয়কর রিটার্নের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৬০ লাখ ২১ হাজার ২৮৮ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২০২৩ সালের ২৫ জুন স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া মেটলাইফ এলিকোতে ২৮ লাখ টাকার পলিসির সন্ধান পেয়েছে দুদক।

লিকু প্রথম আয়কর প্রদান করেন ২০০৯-২০১০ করবর্ষে। তার আয়কর ফাইলে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ করবর্ষে মূল বেতন ৬৭ হাজার ১০ টাকা, নিট আয় নয় লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৪ টাকা এবং নিট সম্পদ এক কোটি চার লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।

আয়কর রিটার্নের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৬০ লাখ ২১ হাজার ২৮৮ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২০২৩ সালের ২৫ জুন স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া মেটলাইফ এলিকোতে ২৮ লাখ টাকার পলিসির সন্ধান পেয়েছে দুদক।

লিকু ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

লিকুর স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন রামদিয়াতে ‘মেসার্স রাফি অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজ’ নামের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার জমির পরিমাণ ৪৭১ শতাংশ এবং দালিলিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।

রাজধানী ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলায় ‘মধু সিটিতে’ এক বিঘা জমির ওপর ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন লিকু। যার মূল্য কোটি টাকা। এ ছাড়া ঢাকার আদাবরের ৬ নম্বর রোডের ৫৮৩ নম্বর বাড়ির এ-৬ ফ্ল্যাটটি তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে। ওই বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম রহিমা আক্তারের বন্ধু বলে জানা গেছে। ২৫ মিতালী রোড, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক, ধানমন্ডি, ঢাকায় লিকুর বেনামে আরও একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। স্ত্রী ও অন্যদের নামে অর্ধডজন প্রাইভেট গাড়ি ও মাইক্রোবাসের খোঁজ পাওয়া গেছে।

লিকুর স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন রামদিয়াতে ‘মেসার্স রাফি অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজ’ নামের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার জমির পরিমাণ ৪৭১ শতাংশ এবং দালিলিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।

খুলনা-ঢাকা-সাতক্ষীরা-গোপালগঞ্জ রুটে ‘ওয়েলকাম এক্সপ্রেস’ নামে ৪২টি যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করছে। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। গাড়িগুলো টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কালু ও তার যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি গাড়ির মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ওয়েলকাম বাস সার্ভিসেও তার শেয়ার রয়েছে।

গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাকুড় মাঠের পাশে ১৩ শতাংশ জমির ওপর শ্যালক শেখ মো. ইকরাম ওরফে হালিম মোল্লার নামে (বেনামে) ১০তলা কমার্শিয়াল ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছেন। যা ‘স্বর্ণা টাওয়ার’ নামে পরিচিত। জানা যায়, হালিম মোল্লা তার স্ত্রী স্বর্ণা খানমের নামে এটি গড়েছেন।

অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানাধীন কুশলা ইউনিয়নসহ গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন কাজুলিয়া গ্রামে ৪০০ বিঘা জমিতে মৎস্যঘের রয়েছে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন থানাপাড়া রোডে পৈত্রিক জমিতে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য দুই কোটি টাকা।

অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলেছেন আলিশান সব বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

জানা যায়, লিকুর শ্যালক শেখ মো. ইকরাম ওরফে হালিম মোল্লা। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসার আড়ালে মূলত হুন্ডি ব্যবসা করতেন। হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তিনি বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি ভিয়েতনামে বসবাস করেন। গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সব অবৈধ অর্থ বৈধ করার কাজে তিনি সহযোগিতা করেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।

নিজ বাড়ির পাশে থানাপাড়া রোডে অনির্বাণ স্কুলের দক্ষিণ পাশে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন লিকু। সেখানে তার শ্বশুর-শাশুড়ি বসবাস করছেন।

লিকুর সেজ ভাই গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপুর নামে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার লাইট হাউজের পাশে ‘ওশান ব্লু’ নামের রিসোর্ট রয়েছে। এটি মূলত গড়েছেন লিকু। সেখানে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানেরও শেয়ার রয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, লিকুর সেজ ভাই গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপুর নামে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার লাইট হাউজের পাশে ‘ওশান ব্লু’ নামের রিসোর্ট রয়েছে। এটি মূলত গড়েছেন লিকু। সেখানে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানেরও শেয়ার রয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গোবরা নামক স্থানে লিকুর শ্যালক হালিম মোল্লার শ্যালক রিপন ফকিরের নামে ১৫ শতক জমিতে আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান মিলেছে। একই ওয়ার্ডে হালিম মোল্লার অপর শ্যালক মিল্টন ফকিরের নামে তিনতলা বাড়ি এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাকুড় নামক স্থানে নিলের মাঠের পাশে ১০ শতাংশ জায়গায় একতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।

লিকুর আপন ছোট ভাই গাজী শফিকুর রহমান ছোটনের নামে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ শতাংশ জমি, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যালকের নামে সোয়া কোটি টাকার সাত কাঠা জমি, গোপালগঞ্জের বেদগ্রাম মোড়ে স্ত্রী রহিমা বেগমের নামে ৮ শতাংশ ও ১০ শতাংশ বসতভিটা, গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ বিঘা জমি, ভায়রাভাই ওমর আলীর নামে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে চারতলা বাড়ি ক্রয় করেছেন বলে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ এসব মামলা করা হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার এপিএস থাকা অবস্থায় নানা দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লিকুর বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।’

তিনি জানান, লিকু, তার স্ত্রী রহিমান আক্তার, ভাই গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপু ছাড়াও শেখ মো. ইকরাম, তানভীর আহম্মেদ, মো. লিয়াকত হোসেন সবুজ, কালু শেখ, হামিম শেখ, মিন্টু রহমান ও আরাফাত হোসেনকে আসামি করে প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও অন্যান্য আসামি গোপালগঞ্জে তাদের নামের ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি ৫৯ লাখ ১৩ হাজার ১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন। একইসঙ্গে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস আড়ালের উদ্দেশ্যে রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দ্বিতীয় মামলাটি করা হয় শুধু লিকুর বিরুদ্ধে। এ মামলাটিরও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-২ থাকা অবস্থায় লিকু ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৫ কোটি ৩২ লাখ ৮৮০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগ দখলে রেখে দুদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তৃতীয় মামলাটিতে রহিমাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে লিকুকে। মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, লিকু ও তার স্ত্রী রহিমা একে অপরের সহযোগিতায় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তিকে বৈধতা দানের অসৎ উদ্দেশ্যে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

চতুর্থ মামলাটিতে লিকুকে দুই নম্বর আসামি এবং ছেলে শেখ ইকরামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তিকে বৈধতা দানের উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৮ টাকার সম্পদ ভোগ দখলে রেখে দুদক আইন ও দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিমের ব্যাটে জয় ফরচুন বরিশালের

ছবি: সংগৃহীত

ফরচুন বরিশাল বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব জয় দিয়ে শুরু করেছে, ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে। চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল বরিশালের হয়ে খেললেও তার সমর্থনে ঘাটতি হয়নি। দর্শকদের দারুণ সমর্থনের প্রতিদান দেন তামিম, ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে। তার সাথে ডাভিড মালানের অপরাজিত ৪৯* রানের ইনিংস বরিশালকে সহজ জয় এনে দেয়। মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্য তারা ১৪০ রানে পৌঁছে যায় চার ওভার হাতে রেখেই, ফলে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বরিশাল।

ঢাকা ক্যাপিটালস ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি। তানভীর ইসলামের স্পিন এবং ফাহিম আশরাফ ও জাহানদাদ খানের পেস আক্রমণে দলটি ১৩৯ রানে অলআউট হয়। ঢাকার হয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, যিনি ৪৪ বলে ৬২ রান করেন। বাকিরা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তানজিদের পর ঢাকার আশা হয়ে ছিলেন সাব্বির রহমান, কিন্তু তিনিও তানভীর ইসলামের বলে দ্রুতই আউট হন। তানভীর ৩ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার ব্যাটিংকে ধসিয়ে দেন।

বরিশালের ইনিংসে শান্ত দ্রুত আউট হলেও তামিম ও মালানের ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তামিম তার ফিফটি পূর্ণ করেন এবং দর্শকদের অভিবাদনের সাথে মাঠ ছাড়েন। মালান ফিফটির কাছাকাছি এসে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জাহানদাদ খানের ছোট ক্যামিও (৪ বলে ১২) ম্যাচ দ্রুত শেষ করে দেয়।

ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা ও লিটন দাসের ব্যাটিং ব্যর্থতা, পাশাপাশি মোসাদ্দেক হোসেনের অদ্ভুত আউট, ঢাকার স্কোর বাড়াতে বাধা সৃষ্টি করে। বরিশালের স্পিন ও পেস আক্রমণের কাছে ঢাকা ক্যাপিটালস পুরোপুরি হার মানে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়
চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিমের ব্যাটে জয় ফরচুন বরিশালের
আলোচনায় পিনাকী ভট্টাচার্যের নতুন বই ‘ফুলকুমারী’
বৈঠকে যোগ দিচ্ছে বিএনপির এক সদস্যের প্রতিনিধি, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে দেবে না মতামত
এবার টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক
১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না বিএনপি
কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
দিল্লির অনুরোধে পাকিস্তান সফর পিছিয়ে দিলেন সুবিয়ান্তো
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো
৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব
র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩০
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক আজ
‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিকারীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি বৈষম্যবিরোধীদের
পাঁচ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী
অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীর কারাগারে
যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা