শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্নীতির শঙ্কায় মাল্টার নাগরিকত্ব পাননি টিউলিপের চাচি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার এক আত্মীয়, টিউলিপ সিদ্দিকের চাচি শাহীন সিদ্দিক, ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টার নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্নীতির শঙ্কায় মাল্টার কর্তৃপক্ষ তার নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।

সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শাহীন সিদ্দিকের পরিবার অর্থপাচার, দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জড়িত বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ কারণেই মাল্টা তাদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।

শাহীন সিদ্দিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী। ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে তিনি মাল্টার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। মাল্টায় নাগরিকত্বের বিনিময়ে বিনিয়োগ কর্মসূচি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। তাদের অভিযোগ ছিল, শাহীন এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত যা ঢাকায় অবৈধভাবে মূল্যবান সরকারি জমি দখলের সঙ্গে জড়িত।

হেনলির নথিপত্র থেকে জানা যায়, শাহীন ২০১৩ সালের নাগরিকত্ব আবেদনে তার কোম্পানি "প্রচ্ছায়া"তে তার পদ উল্লেখ করেছিলেন। অথচ প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালেই ঢাকার জমি দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। একইসঙ্গে শাহীন তার মেয়ে বুশরার সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টার পাসপোর্টের জন্য ২০১৫ সালে আবার আবেদন করেন। এতে উল্লেখ ছিল, নাগরিকত্বের জন্য ৬৫০,০০০ ইউরো এবং ৭০,০০০ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে।

শাহীন কুয়ালালামপুরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেন, যেখানে প্রায় ২.৭৬ মিলিয়ন ডলার জমা ছিল। কিন্তু এ অর্থের সুনির্দিষ্ট উৎস উল্লেখ করা হয়নি। বাংলাদেশের মুদ্রা আইন অনুসারে একজন নাগরিক বছরে সর্বোচ্চ ১২,০০০ ডলার দেশে বাইরে নিতে পারেন। ফলে এত বিপুল অর্থ কীভাবে পাচার হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

এদিকে, শেখ হাসিনার পতনের পর টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। টিউলিপ বিনামূল্যে দুটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছিলেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এ ঘটনায় লেবার পার্টির মন্ত্রী হিসেবে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

অপরদিকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ২০১৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় তাদের লেনদেন এবং লকার ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান চলছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের দুর্নীতি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। বিষয়টি বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল

তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং অন্যতম সফল ওপেনার তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটি ছিল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার অবসরের ঘোষণা দেন।

ফেসবুক পোস্টে তামিম লিখেছেন, "আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর সামনে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার আলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তার পরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।"

তামিম ইকবাল তার পোস্টে আরো বলেন, "অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।"

তিনি আরও বলেন, "২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তার পরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’"

Header Ad
Header Ad

ঢাকার হারের হেক্সা, প্রথম জয় পেল সিলেট

ঢাকার হারের হেক্সা, প্রথম জয় পেল সিলেট। ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলের চলতি আসরে জয়ের দেখা পাচ্ছেই না ঢাকা ক্যাপিটালস। আজ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লড়াইটা জমে উঠেছিল। লিটন দাস ও মুনীম শাহরিয়ারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইশর কাছাকাছি রান করেছিল ঢাকা।

তবে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া হয়নি দলটির। চতুর্থ ম্যাচে এসে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে ঢাকাকে টানা ষষ্ঠ হারের স্বাদ দিয়েছে স্বাগতিক সিলেট।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে তারা। জবাবে ৮ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট।

টানা পাঁচ ম্যাচে হারা ঢাকার হয়ে ব্যাট হাতে এদিন আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাস ও মুনীম শাহরিয়ার। ১০ চার ও এক ছক্কায় ৪৩ বলে ৭৩ রান করেন লিটন দাস। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৭ বলে ৫২ রান করেন মুনীম। সাব্বির রহমান তিন ছক্কায় ১০ বলে ২৩ রান করেন। ৯ বলে ১৮ রান করেন থিসারা পেরেরা।

সিলেটের রাকিম কর্নওয়েল ৩ উইকেট নেন। তানজিম সাকিব ও রিচি টপলে একটি করে উইকেট নেন।

জবাবে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের প্রথম বলে কর্নওয়েলের উইকেট হারায় দলটি। ১৯ রানে ফিরে যান জর্জ মুন্সে। এরপর জাকির হাসান হাল ধরেন। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। যদিও এরমাঝে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় সিলেট। অ্যারন জোন্স ১৪ রানে এবং নাহিদুল ১১ রানে ফিরে যান। দলীয় ১০৯ রানে জাকির ফিরে যান। ৭ চার আর তিন ছক্কায় ২৭ বলে ৫৮ রান করে।

জাকির ফেরার পর ঝড় তোলেন রনি তালুকদার। ১৯ বলে ৩০ রান করে ১৪.৪ ওভারে দলীয় ১৫৮ রানে ফিরে যান। পরের ওভারে জাকের আলি অনিকের উইকেট হারায় সিলেট। একটি চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান করেন। পরে তানজিম সাকিবকে নিয়ে সিলেটকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান আরিফুল হক। সিলেট অধিনায়ক ১৫ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তানজিম সাকিব ৭ বলে ৮ রান করেন।

ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ফারমানউল্লাহ ও শুভম রাঞ্জানে।

Header Ad
Header Ad

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চিকিৎসায় নতুন পরিবর্তন

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে তার চিকিৎসা চলছে। তবে, চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এসব তথ্য প্রকাশ করেন ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি আরো বলেন, “আজ (১০ জানুয়ারি) আরও কিছু রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতির ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলা যাবে না। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।"

লন্ডনের একটি ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে, যেখানে তার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন। তার চিকিৎসায় আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যুক্ত হয়েছেন।

ডা. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বলেন, “কেনেডির সঙ্গে চিকিৎসায় আরো কিছু চিকিৎসক যুক্ত হয়েছেন। রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখন দিতে পারব না, তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ঠিকভাবে চলছে।”

এদিকে, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিতভাবে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তারেক রহমান সারাদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার তদারকি করছেন। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর কারণে খালেদা জিয়া মানসিকভাবে বেশ ভালো আছেন এবং হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুস এবং ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। ৭ জানুয়ারি, উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন চলে যান এবং ৮ জানুয়ারি বিকেলে লন্ডনে পৌঁছান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল
ঢাকার হারের হেক্সা, প্রথম জয় পেল সিলেট
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চিকিৎসায় নতুন পরিবর্তন
কিশোরগঞ্জে একটি আম বিক্রি হলো ১৬০০ টাকায়
সিঙ্গারা খেয়ে টাকা না দেয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাসহ আহত ১৩
নওগাঁ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে সম্মত বিএসএফ
ইসলাম ‘অবমাননার’ দায়ে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর জেল
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: শাকিল উজ্জামান
ডাক বিভাগে ৫২৪ পদে বিশাল নিয়োগ, আবেদন ফি ৫৬ টাকা
‘সাহস নিয়ে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম, জীবন দিতেও দ্বিধা করতাম না‌’
এক ওসি পালানোর ঘটনায় আরেক ওসি প্রত্যাহার
কাল থেকে কলরেট, ইন্টারনেটসহ খরচ বাড়ছে ১০০ পণ্যের
জুলাই ঘোষণাপত্রে খুনিদের বিচার ও শাস্তির কথা থাকতে হবে: সারজিস
সংস্কারের পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে নিয়ে বিদায় নেবো: শিল্প উপদেষ্টা
১০ জেলায় তীব্র শীতের পূর্বাভাস, থাকবে শৈত্যপ্রবাহ
জুলাই বিপ্লবে নিহত ৬ অজ্ঞাত মরদেহের সন্ধান
খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়
মাইনাস টু'র আশা জীবনেও পূরণ হবে না: আমীর খসরু
রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের সত্যতা মেলেনি
বগুড়ার আদমদীঘিতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল চোরের (ভিডিও)