ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ!
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য সময়টি বেশ কঠিন। মন্ত্রীত্ব হারানোর চাপের মধ্যে তিনি আবারও এক নতুন অভিযোগের মুখোমুখি। দীর্ঘ ৮ বছর পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া বিশিষ্ট ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাশেম আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, নিখোঁজ আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক ও এমপি ছিলেন একই সঙ্গে তিনি শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে। তাই ঐ সাংবাদিক মনে করেছিলেন, হাসিনার কাছে একটি ফোন করলে আরমান হয়তো মুক্তি পেতে পারেন।
তবে চ্যানেল-৪ এর ঐ সাংবাদিকের প্রশ্নে এবং প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হন টিউলিপ। পরবর্তীতে তিনি ক্ষমতা ও প্রশাসনকে দিয়ে আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, চ্যানেল-৪ প্রতিবেদনটি প্রচার করার কয়েক ঘণ্টা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়িতে যায়। তার স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলা হয়। বাইরের দেশের কার কার সঙ্গে তার স্ত্রীর যোগাযোগ আছে এ ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হয়। এমনকি তাকে এমনভাবে হেনস্তা করা হয় যেন কোনো সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান আরমান।
তিনি মনে করেন, তার ব্যাপারে টিউলিপকে জিজ্ঞেস করার বিষয়টি কোনোভাবে যেন শেখ পরিবারকে আঘাত করেছিল। এ কারণে প্রশাসন থেকে এমন আচরণ করা হয়েছিল বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার আরমান লন্ডনে পড়ালেখা করেছেন। ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বাবার বিচার চলাকালে তিনি তার আইনজীবীর ভূমিকা পালন করছিলেন। ঠিক তখনই তাকে গুম করা হয়।
আরমানের বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল-৪ এর একজন সাংবাদিক ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে যান। তাকে ব্যারিস্টার আরমান সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, আপনার একটি ফোন কল অনেক পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তখন ওই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন টিউলিপ।