সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘আজ বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটি’  

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৯ কোটিতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় জনজরিপ সংস্থা ইউএস সেন্সাস ব্যুরো। সংস্থাটি বলেছে, গত বছর বিশ্বে ৭ কোটি ১০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। আর ১৪১ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ছিল ভারত। এর পরের অবস্থানে ছিল চীন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় জন জরিপ সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বেজুড়ে জনসংখ্যা বেড়ে ৭ কোটি ১০ লাখের বেশি হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল ৭ কোটি ৫০ লাখ।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪ দশমিক ২ জন শিশু জন্মাবে এবং ২ জন শিশুর মৃত্যু হবে বলে জরিপে অনুমান করা হয়েছে।

তবে এই হিসাবে তারতম্য হতে পারে। কারণ জনসংখ্যা বিষয়ক বিভিন্ন বৈশ্বিক জরিপ বলছে, বছরের ১২ মাসের প্রত্যেকটিতে বৈশ্বিক জন্মহার ও মৃত্যুহার ভিন্ন ভিন্ন হয়।

Header Ad
Header Ad

চীনের পর এবার ভারতে মিললো এইচএমপিভি ভাইরাস, ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত

চীনের পর এবার ভারতে মিললো এইচএমপিভি ভাইরাস। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

করোনা মহামারির পাঁচ বছর পর এবার শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চীনের পর মালয়েশিয়ায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর পর এবার ভারতে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা ভারতের জন্য প্রথম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিন মাস ও আট মাস বয়সী দুই শিশুর দেহে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, তবে রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চীনে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতাল ও শ্মশানগুলোতে চাপ বেড়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। মালয়েশিয়ায়ও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণকে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রভাব এবং উপসর্গ:

এইচএমপিভি মূলত শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। শীতের সময় এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়।

সংক্রমণ সাধারণত কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখে হাত দেওয়ার মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে। ভাইরাসটির উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এইচএমপিভি শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীন, মালয়েশিয়া ও ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করতে পারে। সতর্কতা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো জরুরি।

Header Ad
Header Ad

দেশের মূল্যস্ফীতি কমলেও অস্বস্তিতে গ্রামের মানুষ

দেশের মূল্যস্ফীতি কমলেও অস্বস্তিতে গ্রামের মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিদায়ী ২০২৪ সালের সর্বশেষ মাসেও দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনো দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে।

মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) করে জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮।

বিবিএসের এই তথ্য মতে, বিদায়ী বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

নভেম্বর মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল।

গত ডিসেম্বরে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যে পণ্য কেনা গেছে, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে একই পরিমাণ পণ্য কিনতে ভোক্তাকে ১১২ টাকা ৯২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসে শীতের শাকসবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে এসব পণ্যের দাম কমে এসেছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে সরকার আমদানি করা পণ্যের দাম কমাতে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ও অন্যান্য কর তুলে নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদের হারও। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যে এসব পদক্ষেপের কিছুটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

Header Ad
Header Ad

নিজের নামে ট্রফি, অথচ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডাকা হয়নি গাভাস্কারকে

ছবি: সংগৃহীত

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ শেষে অদ্ভুত এক চিত্র দেখা গেল। ট্রফি তুলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যালান বর্ডার, অথচ তার সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল না ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারকে। মাঠের এক পাশে একা দাঁড়িয়ে থাকা গাভাস্কারকে দেখে হতবাক হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

গাভাস্কার এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “শুধু আমি ভারতীয় বলে?” কোড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি দুই দেশের যৌথ সম্মান। আমি মাঠেই ছিলাম, কিন্তু শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া জিতেছে বলে আমাকে উপস্থাপনা থেকে বাদ দেওয়া হলো? এটি ঠিক হয়নি। আমি আমার বন্ধু অ্যালান বর্ডারের সঙ্গে ট্রফি প্রদান করতে পারতাম।”

খবরে জানা গেছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে অস্ট্রেলিয়া জিতলে বর্ডার ট্রফি দেবেন, আর ভারত জিতলে বা ড্র হলে গাভাস্কার তা করবেন। তবে গাভাস্কারকে এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি, যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এবারের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-১ ব্যবধানে জিতে দশ বছর পর ট্রফি পুনরুদ্ধার করে। সিডনি টেস্টে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৭ রানে। স্কট বোল্যান্ড ও প্যাট কামিন্সের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। অস্ট্রেলিয়া সহজেই ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।

১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সিরিজে পরিণত হয়েছে। এবারের সিরিজে দর্শক রেকর্ড ভেঙেছে। তবে সিরিজ শেষে সুনীল গাভাস্কারকে উপেক্ষা করার ঘটনাটি ক্রিকেটবিশ্বে আলোড়ন তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চীনের পর এবার ভারতে মিললো এইচএমপিভি ভাইরাস, ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত
দেশের মূল্যস্ফীতি কমলেও অস্বস্তিতে গ্রামের মানুষ
নিজের নামে ট্রফি, অথচ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডাকা হয়নি গাভাস্কারকে
যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ের শঙ্কা, ৭ অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি  
ভারতে পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতা শাহাজাদা গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মন্ত্রিত্ব হারাতে বসেছেন টিউলিপ
দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার  
আজহারীকে জামায়াতে যোগ দিতে বললেন দুদু  
রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে ১১ ছায়া কমিশন  
১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলো সাবেক প্রেমিকের থেকে তাহসানের স্ত্রী!  
৫০ বছর পর প্রকাশ্যে মেজর ডালিম, মুজিবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য  
মুম্বাইয়ে ক্রাইম পেট্রোল অভিনেতাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত
প্রথমবার জুটি বাঁধছেন আয়ুষ্মান-রাশমিকা
বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া  
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র  
আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো
শুধু মা ও সন্তানদের নিয়েও একটি নিখুঁত পরিবার হয় : পরীমণি
প্রশ্নফাঁস কান্ডের সেই আবেদের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকা লেনদেন
শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে তসলিমার সমালোচনা