লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত
লোকসভার বাইরে দুই-পক্ষের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আম্বেদকর-মন্তব্য ঘিরে দেশটির সংসদে সরকার ও বিরোধীপক্ষের সংঘাত এবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দু’ই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বিজেপির সংসদ সদস্য প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গী ও মুকেশ রাজপুত আহতের অভিযোগ উঠেছে রাহুল গান্ধির দিকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংসদের বাইরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তীব্র ধাক্কাধাক্কি হয়।
বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধীর আঘাতে তাদের এমপিরা আহত হয়েছে। বিজেপি সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেছেন, ‘কি করে তিনি (রাহুল) সংসদে শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। কোন আইন তাকে এমপিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ক্ষমতা দিয়েছে।
জাপানিজ মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টধারী রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা কিরণ রিজিজু বলেছেন, ‘এমপিদের মারার জন্যই আপনি কারাতে কুং ফু শিখেছেন?’
তবে রাহুলের দাবি ভিন্ন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তারা (বিজেপির এমপি) ধাক্কা ও হুমকি দেয়।’
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর নিয়ে বিতর্কের শেষে জবাবি বক্তৃতায় শাহ বলেন, ‘‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এত বার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত।’’
বুধবার থেকেই শাহর বিরুদ্ধে আম্বেদকর-অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার লোকসভায় সেই বিক্ষোভ ঘিরেই হয় তুলকালাম। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ওড়িশায় অস্ট্রেলীয় মিশনারি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইনস ও তার দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বজরং দলের। সেই সময়ে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন ষড়ঙ্গী। তার বিরুদ্ধেও খুনের মামলা রুজু হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত দারা সিংহের যাবজ্জীবন জেল হলেও বিচারে রেহাই পেয়ে যান ষড়ঙ্গী।