বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পালালেও পালায়নি প্রধানমন্ত্রী, সমর্থন দিলেন বিদ্রোহীদের

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি। ছবি: সংগৃহীত

বাশার আল আসাদ পালালেও পালিয়ে যাননি সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি। তিনি দামেস্কে তার বাড়িতেই থাকছেন এবং পালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বিরোধীদের দিকে সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন সিরিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদেন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের রাজধানী ত্যাগের পর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এইচটিএসের পক্ষ থেকে, যেখানে গোষ্ঠিটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেন, দামেস্কের কোনো প্রতিষ্ঠানের দখল নিতে নিষেধ করা হয়েছে বিদ্রোহীদেরকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে এসবের ভার। উৎসবের সময় গুলি চালানোও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে নতুন সিরিয়ার সূচনা হলো মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন সিরিয়া হবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জায়গা, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হয়েছে। ৫০ বছরের নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার, বাস্তুচ্যুতি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পর সব দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করে আমরা আজ ঘোষণা করছি, সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং শুরু। সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের শুরু হলো।

এদিকে নিজ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। সেইসঙ্গে তিনি জানান, দামেস্ক ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তার এবং তিনি নিশ্চিত করতে চান যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আল-জালালি বলেন, আমি সবাইকে যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করার এবং দেশ নিয়ে চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বিরোধীদের দিকে আমাদের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি, যারা আমাদের দিকে তাদের হাত বাড়িয়েছে। দৃঢ়ভাবে বলছি, তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবে না।

বক্তব্যে জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি।

Header Ad
Header Ad

মেয়ের বাবা হলেন ছাত্র-আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা শহীদ রাব্বি

ছাত্রদলের নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি । ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাগুরা জেলা ছাত্রদলের নেতা মেহেদী হাসান রাব্বির স্ত্রী রুমি খাতুন একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মেহেদী দেখে যেতে পারেননি তার সন্তানকে। কন্যা সন্তানের জন্মের আনন্দ থাকলেও পরিবারের মাঝে বইছে বেদনার সুর।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে মাগুরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিহত ছাত্রদল নেতার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

গত ৪ আগস্ট মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে গুলিতে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি (৩৪) নিহত হন। নিহত মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।

৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন পুলিশের সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান। তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও বিএনপি নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেন । ছবিঃ সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, এনডিসি, পিএসসি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্র গ্রহণ করেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান অভ্যর্থনা জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া

Header Ad
Header Ad

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি তিন গুণ বাড়ালো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি তিন গুণ বাড়ালো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৩ বছর পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী আবাসিক সুবিধা, দত্তক সনদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবার ফি বাড়াল সরকার। ফি বেড়েছে ২ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়মিতকরণের ফি বাড়ানো হয়েছে।

নাগরিকত্ব ও বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য সেবাগুলোর ফি বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়ে ৪ ডিসেম্বর পৃথক দুটি পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি ছিল ৫০০ টাকা। এবার তা ৩ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। দ্বৈত নাগরিকত্ব ফি ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ ফি আগে ৪ হাজার টাকা ছিল; তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার টাকার স্থায়ী আবাসিক অধিকার ফি বাড়িয়ে ১৫ হাজার এবং ১ হাজার টাকার দত্তক সনদ ফি ৫ গুণ বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ২০১২ সালের পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো শিল্পে অথবা ব্যবসায় কমপক্ষে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারী বিদেশি নাগরিকের এ দেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। বর্তমানে তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে অন্য বিদেশিদের, যাদের ভিসা লাগে না (‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’-এনভিআর) সে ক্ষেত্রে ৮০ ডলার ফি লাগবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বৈধতা অর্জনের ফিও লক্ষণীয়ভাবে বাড়িয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থান বৈধ করার জন্য অবৈধ অবস্থানের প্রথম ১৫ দিনের ক্ষেত্রে দৈনিক ফি ছিল ২০০ টাকা। বর্তমানে তা ৫ গুণ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। অবৈধ অবস্থানের মেয়াদ ১৫ দিনের বেশি হলে ৯০ দিন পর্যন্ত ফি ছিল ৫০০ টাকা। তা ৪ গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২০১১ সালে এই ফি প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং ৯০ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বাড়িয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকা সংশ্লিষ্ট বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেন অ্যাফেয়ার্স আইন অনুযায়ী পুলিশ মামলা করতে পারবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক বা বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানদের অবৈধ অবস্থানের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের তিন মাস পর্যন্ত জরিমানা মওকুফ ছিল। বর্তমানে তা ৩ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেয়ের বাবা হলেন ছাত্র-আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা শহীদ রাব্বি
বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি তিন গুণ বাড়ালো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি নেতা মিল্টনের জামিন
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা বিভ্রাটের পর স্বাভাবিক হলো হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন
ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী
শীতে দৈনিক দুই কোয়া রসুন খান দেখুন কি হয়!
লালমনিরহাটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপির লং মার্চ: আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত
ম্যানসিটির পর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিবেন না গার্দিওলা