বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি ছিলেন এক অদম্য প্রবাদ পুরুষ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) মজলুম জননেতার ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, “মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার অগাধ দেশপ্রেম ও শোষিতের পক্ষে অবস্থান ছিল আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ী। তিনি মানুষের অধিকার আদায়ে দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জাতিকে সাহস যুগিয়েছেন।”
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ে মাওলানা ভাসানী ছিলেন আপসহীন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব শোষণের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। তার প্রতিবাদী কণ্ঠে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর ভিত কেঁপে উঠত। দেশের ভয়াবহ সংকটময় সময়গুলোতে তিনি সবসময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এ কারণেই জনগণের মধ্যে তিনি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে ওঠেন।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “মাওলানা ভাসানী সবসময় অসহায় মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অটল থেকেছেন। তার আদর্শ আমাদের জন্য যুগ যুগ ধরে প্রেরণা হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় তার অবদান আমাদের জাতিকে পথ দেখাবে।”
তিনি বলেন, “তার নিরলস সংগ্রামের মাধ্যমে শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার হুংকারে অত্যাচারীরা বারবার পরাজিত হয়েছে। এমন একজন আদর্শিক নেতা চিরকাল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।”
তারেক রহমান তার পোস্টে মাওলানা ভাসানীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “মাওলানা ভাসানীর মতো মহান নেতার আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”