উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে শীতের আগমন অনেক আগে থেকেই টের পাওয়া যায়। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়ের জনপদ যেন শীতের আগমনী বার্তায় সিক্ত।
রবিবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার ধারা নিম্নমুখী। সামনের দিনগুলোতে এই তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালের সূর্য ওঠার পরেও ঘন কুয়াশার কারণে উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। হিম বাতাস আর শিশিরে শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি যেন শীতের আগমনী পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দু সূর্যের আলোয় ঝলমল করে উঠছে।
স্থানীয়দের মতে, সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল হাওয়ার দাপট বাড়ছে। রাতে কাঁথা-মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। বরফে ঢাকা হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় এবং এর আশেপাশের এলাকায় শীতের প্রভাব বেশি। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে শীতের প্রকোপ চরমে থাকে।
শীতের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। শীতের আগমনের দু-এক মাস আগে থেকেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে বাজারে শীতের কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। দোকানে দোকানে নতুন শীতের পোশাক তোলার কাজ চলছে।
এদিকে, কৃষকরাও শীতকে উপেক্ষা করে ধানক্ষেতে কাজ করছেন। মাঠে শিশির ভেজা প্রকৃতি আর হিমেল বাতাসের মধ্যেই তারা তাদের দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করছেন। প্রকৃতির এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতাও দিন দিন বাড়ছে।
পঞ্চগড়ের শীত শুধু প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন প্রস্তুতির বার্তা। শীতের সকালের এই পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি শীত মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।