পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন

জন হোপফিল্ড (বামে) ও জিওফ্রে হিন্টন। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার পর আজ ঘোষণা করা হয়েছে পদার্থবিদ্যার পুরস্কার বিজয়ীর নাম। পদার্থবিদ্যায় এ বছর সম্মানজনক এই পুরস্কার জিতেছেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জানিয়েছে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কসহ মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিস্কারের জন্য জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টনকে এ বছর নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এ দুজন পদার্থবিদ্যা ব্যবহার করে এমন পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন যা আজকের মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এরমধ্যে হোপফিল্ড এমন স্ট্রাকচার তৈরি করেছেন সেটি তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। অপরদিকে হিন্টন যে পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন যেটি স্বাধীনভাবে তথ্যের বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। যা বর্তমান বিশ্বে ব্যবহৃত বৃহৎ কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গত বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।
১৯০১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১৭ বার পদার্থে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২২৪ জন পদার্থবিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে দুইবার এই পুরস্কার জিতেছেন। প্রথমবার ১৯৫৬ এবং ১৯৭২ সালে দ্বিতীয়বার তিনি নোবেলে ভূষিত হন।
