বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দ্বারা সংরক্ষিত আসনের মামলার রায়ের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে করা অনুরোধকে তিরস্কার করেছে এবং শীর্ষ আদালতের মূল নির্দেশাবলী অবিলম্বে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।

গত ১২ জুলাই পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের ১৩ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ঘোষণা করেছিল যে, দেশটির বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইন্সাফ (পিটিআই) জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে মহিলা এবং অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য। শীর্ষ আদালতের এই রায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের ক্ষমতাসীন জোটকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। এবং সম্ভাব্যভাবে পিটিআইকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে একক বৃহত্তম দলে পরিণত করেছে। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত পিটিআইকে সংসদীয় দল ঘোষণা করেছে। বিস্তারিত রায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, ইসিপি কর্তৃক পিটিআই প্রার্থী হিসাবে দেখানো ৮০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩৯ জনই দলের অন্তর্ভুক্ত। বাকি ৪১ জন স্বতন্ত্রকে সাংসদকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশটির নির্বাচন কমিশনের সামনে যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত এবং নোটারিকৃত বিবৃতি দাখিল করতে হবে, ব্যাখ্যা করতে হবে যে তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের রায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিপি। রায় বাস্তবায়নে বাধাগুলো চিহ্নিত করতে ইসিপির আইন বিশেষজ্ঞের একটি দলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে শীর্ষ আদালত থেকে আরও নির্দেশনা চাওয়া যায়।

কিছু আইনগত ও বাস্তবিক বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে ইসিপির অনুরোধে শনিবার জারি করা পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের একটি লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ‹আদালতের সামনে রাখা সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করে কমিশনের যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তা একটি কৌশলগত ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব, ব্যর্থতা এবং বাধা দেওয়ার জন্য বর্ধিত কৌশল অবলম্বন করার জন্য। এটিকে সফল হতে দেয়া যাবে না. এমনকি আইনের প্রাথমিক নীতিমালার প্রয়োগেও কমিশনের করা আবেদনটি ভ্রান্ত ধারণা থেকে করা হয়েছে।’

আদালত বলেন, ”এছাড়াও, কমিশন, এমনকি যদি কেউ আবেদনটিকে সবচেয়ে সহানুভূতিশীল উপায়ে বিবেচনা করেনও, স্পষ্টতই সুপরিচিত মতবাদ বা নিয়ম ভুলে গেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ব্যক্তি যিনি একটি পদে আছেন তার ক্রিয়াকলাপ সুরক্ষিত এমনকি যদি সেখানে (এবং পিটিআই এর সাথে এই ধরনের কোন উপসংহারে পৌঁছানো যায় না) অবস্থানের সাথে কোন সমস্যা থাকেও।’

আদালদের আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘এটিই যথেষ্ট ছিল এবং সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কর্তব্য ছিল মনে রাখা যে (আবেদনের শুনানির সময় আদালতের সামনে বলা হয়েছে) যে স্বীকৃত অবস্থানটিতে পিটিআই একটি তালিকাভুক্ত রাজনৈতিক দল ছিল এবং আছে।”

পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‹সংবিধান ও আইনের বিষয় হিসাবে যা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার, তা বিভ্রান্ত করার এবং সন্দেহযুক্ত করার কমিশনের প্রচেষ্টা তাই দৃঢ়ভাবে অবজ্ঞা করতে হবে। কমিশন কর্তৃক জারি করা তালিকাটি সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্য ও সুবিধার জন্য একটি রাজনৈতিক আইন ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এর কোনো সারগর্ভ প্রভাব নেই। তা সত্ত্বেও, এই আইনত বাধ্যতামূলক বাধ্যবাধকতা সম্পাদন করতে কমিশনের ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং প্রত্যাখ্যানের পরিণতি ঘটতে পারে, যেমন উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা অবিলম্বে পালন করতে হবে।’

পাকিস্তান সরকার একটি বিতর্কিত নির্বাচনী আইনের সংষ্কার করেছিল, যা স্পষ্টতই ছিল দেশটির সংসদের সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে ঠেকানোর এবং সংসদের উভয় কক্ষের মাধ্যমে সংসদে পিটিআই-এর প্রত্যাশিত শক্তি হ্রাস করার লক্ষ্যে। পিটিআই সদস্যদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও আইনটি পাস হয়েছিল, যারা পরে সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।

পাকিস্তানের নির্বাচনী আইনের পরিবর্তন দেশটির সরকার, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সর্বশেষ আইনি লড়াইয়ের ময়দানে পরিণত হতে চলেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই বিরোধের প্রভাব এমনকি আইনসভা, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পৃথকীকরণের পরিকল্পনাকে প্রসারিত এবং পুন:সংজ্ঞায়িত করতে পারে, যা নিজেই একটি কণ্টকাকীর্ণ বিষয়।

যাইহোক, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট আপাতত সংসদের নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ২শ’ ২৮ থেকে ২শ’ ৯ আসনে সঙ্কুচিত হয়েছে। ৩শ’ ৩৬ আসনের কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের যাদুকরী সংখ্যা ২শ’ ২৪-এ পৌঁছেছে। সংসদে ক্ষমতাসীন শাহজবাজ শরীফের দল পিএমএল-এন-এর শক্তি ১শ’ ২১ থেকে ১শ’ ৭ এবং এর সহযোগী দল পিপিপি-এর সংখ্যা ৭২ থেকে ৬৭-এ নেমে এসেছে। সূত্র: ডন।

Header Ad
Header Ad

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা তহমুল ইসলাম (২৭) এ মামলা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে, এটি প্রথম মামলা যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো। তিনি মামলায় তিন নম্বর আসামি। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী তহমুল ইসলাম, যিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত, জানান যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় তিনি আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা করেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস। ছবি: সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন। অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, সর্ব্বোচ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়।এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর চার কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন হাইকোর্ট বিভাগ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছেন তাতে আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় হয়েছে। শুধু তাই নয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে সেই অর্থও সুরক্ষিত আছে সেই অ্যাকাউন্টে তা সুরক্ষিত আছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।

গত বছরের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর

সভাপতি রবিউল কবির ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর নির্বাচিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে রবিউল কবির সভাপতি আবু জাফর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় সহসম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খলেক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক।

উপজেলা বি এন পি কার্যালয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল কবির মনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. আবু জাফর লেলিনের সঞ্চালনায় প্রথম পর্যায়ে সম্মেলন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রেজানুল হাবিব রফিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবির আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন দীপু।

আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পরে দ্বিতীয় সেসনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৌর বিএনপির কাউন্সিলরা ভোট দেন।

দ্বিবার্ষিক কাউন্সেলে সভাপতি পদে তিনজন রবিউল কবির (মনু) মণ্ডল (চেয়ার প্রতীক), মোনোয়ার হোসেন রাজু (মোটর সাইকেল প্রতীক) ও জাহাঙ্গীর আলম ডাবলু (আনারস প্রতীক); সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন আবু জাফর লেলিন (ঘোড়া প্রতীক) ও মোসাদ্দেক হোসেন সজল (খেঁজুরগাছ প্রতীক) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন আমিরুল ইসলাম সরকার (আম প্রতীক), মমিন শেখ (মোমবাতি), মাহিদুর রহমান রানক (মাছ), আব্দুল মান্নান সিন্টু (মোরগ), আনিছুর রহমান নাদিম (দেয়াল ঘড়ি) ও তারিকুল ইসলাম চঞ্চল (বাইসাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কাউন্সিলে পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের ৪৫৯ কাউন্সিলর তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ভোটে আগামী দুই বছরের জন্য গোবিন্দগঞ্জ পৌর বি এন পির সভাপতি পদে রবিউল কবির (মনু) মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক পদে আবু জাফর লেলিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহিদুর রহমান রানক ও আব্দুল মান্নান সিন্টু নির্বাচিত হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি: অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি
এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক, ৮৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
নির্বাচন কমিশনে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর, মুক্তিতে বাধা নেই
‘ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে হাসিনার পতনের মত প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব’