সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দ্বারা সংরক্ষিত আসনের মামলার রায়ের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে করা অনুরোধকে তিরস্কার করেছে এবং শীর্ষ আদালতের মূল নির্দেশাবলী অবিলম্বে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে।

গত ১২ জুলাই পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের ১৩ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ঘোষণা করেছিল যে, দেশটির বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইন্সাফ (পিটিআই) জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে মহিলা এবং অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য। শীর্ষ আদালতের এই রায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের ক্ষমতাসীন জোটকে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। এবং সম্ভাব্যভাবে পিটিআইকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে একক বৃহত্তম দলে পরিণত করেছে। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত পিটিআইকে সংসদীয় দল ঘোষণা করেছে। বিস্তারিত রায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, ইসিপি কর্তৃক পিটিআই প্রার্থী হিসাবে দেখানো ৮০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩৯ জনই দলের অন্তর্ভুক্ত। বাকি ৪১ জন স্বতন্ত্রকে সাংসদকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশটির নির্বাচন কমিশনের সামনে যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত এবং নোটারিকৃত বিবৃতি দাখিল করতে হবে, ব্যাখ্যা করতে হবে যে তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের রায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিপি। রায় বাস্তবায়নে বাধাগুলো চিহ্নিত করতে ইসিপির আইন বিশেষজ্ঞের একটি দলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে শীর্ষ আদালত থেকে আরও নির্দেশনা চাওয়া যায়।

কিছু আইনগত ও বাস্তবিক বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে ইসিপির অনুরোধে শনিবার জারি করা পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের একটি লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, ‹আদালতের সামনে রাখা সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করে কমিশনের যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তা একটি কৌশলগত ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব, ব্যর্থতা এবং বাধা দেওয়ার জন্য বর্ধিত কৌশল অবলম্বন করার জন্য। এটিকে সফল হতে দেয়া যাবে না. এমনকি আইনের প্রাথমিক নীতিমালার প্রয়োগেও কমিশনের করা আবেদনটি ভ্রান্ত ধারণা থেকে করা হয়েছে।’

আদালত বলেন, ”এছাড়াও, কমিশন, এমনকি যদি কেউ আবেদনটিকে সবচেয়ে সহানুভূতিশীল উপায়ে বিবেচনা করেনও, স্পষ্টতই সুপরিচিত মতবাদ বা নিয়ম ভুলে গেছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ব্যক্তি যিনি একটি পদে আছেন তার ক্রিয়াকলাপ সুরক্ষিত এমনকি যদি সেখানে (এবং পিটিআই এর সাথে এই ধরনের কোন উপসংহারে পৌঁছানো যায় না) অবস্থানের সাথে কোন সমস্যা থাকেও।’

আদালদের আদেশে আরও বলা হয়েছে, ‘এটিই যথেষ্ট ছিল এবং সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কর্তব্য ছিল মনে রাখা যে (আবেদনের শুনানির সময় আদালতের সামনে বলা হয়েছে) যে স্বীকৃত অবস্থানটিতে পিটিআই একটি তালিকাভুক্ত রাজনৈতিক দল ছিল এবং আছে।”

পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‹সংবিধান ও আইনের বিষয় হিসাবে যা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার, তা বিভ্রান্ত করার এবং সন্দেহযুক্ত করার কমিশনের প্রচেষ্টা তাই দৃঢ়ভাবে অবজ্ঞা করতে হবে। কমিশন কর্তৃক জারি করা তালিকাটি সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্য ও সুবিধার জন্য একটি রাজনৈতিক আইন ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এর কোনো সারগর্ভ প্রভাব নেই। তা সত্ত্বেও, এই আইনত বাধ্যতামূলক বাধ্যবাধকতা সম্পাদন করতে কমিশনের ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং প্রত্যাখ্যানের পরিণতি ঘটতে পারে, যেমন উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা অবিলম্বে পালন করতে হবে।’

পাকিস্তান সরকার একটি বিতর্কিত নির্বাচনী আইনের সংষ্কার করেছিল, যা স্পষ্টতই ছিল দেশটির সংসদের সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে ঠেকানোর এবং সংসদের উভয় কক্ষের মাধ্যমে সংসদে পিটিআই-এর প্রত্যাশিত শক্তি হ্রাস করার লক্ষ্যে। পিটিআই সদস্যদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও আইনটি পাস হয়েছিল, যারা পরে সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।

পাকিস্তানের নির্বাচনী আইনের পরিবর্তন দেশটির সরকার, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সর্বশেষ আইনি লড়াইয়ের ময়দানে পরিণত হতে চলেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই বিরোধের প্রভাব এমনকি আইনসভা, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পৃথকীকরণের পরিকল্পনাকে প্রসারিত এবং পুন:সংজ্ঞায়িত করতে পারে, যা নিজেই একটি কণ্টকাকীর্ণ বিষয়।

যাইহোক, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট আপাতত সংসদের নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ২শ’ ২৮ থেকে ২শ’ ৯ আসনে সঙ্কুচিত হয়েছে। ৩শ’ ৩৬ আসনের কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের যাদুকরী সংখ্যা ২শ’ ২৪-এ পৌঁছেছে। সংসদে ক্ষমতাসীন শাহজবাজ শরীফের দল পিএমএল-এন-এর শক্তি ১শ’ ২১ থেকে ১শ’ ৭ এবং এর সহযোগী দল পিপিপি-এর সংখ্যা ৭২ থেকে ৬৭-এ নেমে এসেছে। সূত্র: ডন।

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানাযায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজন বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পয়ালগছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিপ্লব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘের মধ্যে শিশুরা মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত কিশোর দুজন হলেন পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন(১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দু স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। হাসপাতাল থেকে নিহত দুজনের লাশ স্বজনরা বাড়িয়ে নিয়ে যান।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভুইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে পাশাপাশি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। পরে তাদেরকে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দেখে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বর্তমানে দুজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে আছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তারা ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা