পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের দিল্লি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারাগার থেকে ছয় মাস পর জামিনে বেরিয়ে এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
রোববার (১৫ সেপ্টেস্বর) দুপুরে দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় দিল্লিতে আগাম নির্বাচনেরও দাবি জানান আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরিওয়াল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছি। মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এখন জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেতে চাই।’
‘মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না। প্রত্যেক বাড়িতে যাব, দরজায় দরজায় পৌঁছব। মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।’
কেজরিওয়াল আরো বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার পর আম আদমি পার্টির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’
পদত্যাগের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আদালত জামিন দিয়েছে। এই মামলা চলবে। আইনজীবীদের বললাম, আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। যে আইনে জামিন হয় না, সেই আইনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। কিন্তু আজ আমি জনতার আদালতে এসেছি। আপনারা বলুন, আপনারা আমাকে দোষী মনে করেন না নির্দোষ? কেজরিওয়াল সৎ না অসৎ? দু'দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ছাড়ছি আমি। মানুষকে রায় না শোনানো পর্যন্ত ওই চেয়ারে বসব না আমি’।
দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। জামিন আদেশের কয়েক ঘণ্টা পর তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসেন আম আদমি পার্টি।
মাঝখানে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পরে আবার তিহার জেলে পুনরায় আত্মসমর্পণ করেন। অবশেষে ছয় মাস পর শুক্রবার জেল থেকে মুক্তি পান কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালকে জামিনের শর্তে বলা হয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে যেতে পারবেন না; সরকারী নথিতে স্বাক্ষরও করতে পারবেন না।
এছাড়া শুক্রবার শীর্ষ আদালত আদেশ দেয়, কেজরিওয়ালকে মামাল অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিচারের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে। দ্রুত বিচারের বিচারের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে আদালতকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।