বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিতে বলায় ক্ষেপলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশে জনরোষের মুখে কোন সরকার প্রধানের দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। যে ঘটনা পুরো বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। উদহারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে 'স্বৈরাচারদের পতন বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কার মত করেই হয়'। এবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিতে বলায় ক্ষেপেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল।
এর জবাবে শনিবার (৩১ আগস্ট) কাঠমান্ডুতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি (পুষ্প কমল দহল) বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে আমাকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, আপনি ভালো করে শিক্ষা নিন।’
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নিন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও শেখ হাসিনা সরকারের পতন থেকে কিছু শিখুন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই কথার জবাব দিতে গিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কি ভয় সৃষ্টি করতে ১৭ হাজার মানুষ হত্যা করেছি? আমি কি কারও মনে ভয় ঢুকাতে ডাকাতি করেছি? আমার ভয়ের কিছু নেই। তিনি (পুষ্প কমল দহল) খুব উচ্চস্বরে আমাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন। আমি বলতে চাই- আপনি ভালো করে শিক্ষা নিন।’
এছাড়া বাংলাদেশের মতো নেপালে স্বৈরাচার শাসন বা এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি নেই বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা। এ কারণে নেপালে বাংলাদেশের মতো কিছু ঘটবে না।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নেপালে কোনো অব্যবস্থাপনা নেই। বাংলাদেশে কিছু হয়েছে মানে এই নয় নেপালেও হবে। নেপাল অন্য কোনো দেশের ফটোকপি নয়; এটির নিজস্ব ইতিহাস এবং ঐতিহ্য আছে। আমরা গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তারা আমাদের ভয় দেখাতে পারে না। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই- নেপালে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা এবং সহিংস রাজনীতি আর সম্ভব নয় এবং তাদের অনুমতি দেওয়া হবে না।’