মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাসিনার পতন ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতিতে বড় ধাক্কা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী শেখ হাসিনা তার মিত্র দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী হাসিনার যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্ভবত তিনি অদূর ভবিষ্যতে ভারতেই থাকতে বাধ্য হবেন।

কেননা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মায়ের আপাতত ভারত ত্যাগের কোনো ইচ্ছা নেই। এটা মনে হচ্ছে যে, হাসিনা তার দীর্ঘ স্বৈরতান্ত্রিক শ্বাসন টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিবিল্পবের কৌশল নিচ্ছেন। ২৭ আগস্ট এশিয়া টাইমস ‘হাসিনা’স লাস্ট স্টান্ড লিনস অন ইন্ডিয়া অ্যান্ড প্রো-হিন্দু মিসইনফরমেশন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং তার হিন্দুত্ববাদী সমর্থকদের সাথে জড়িত বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি যদি পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে পারেন তাহলে বাংলাদেশে ভারতের জন্য সম্ভাব্য বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার সহজ হয়ে দাঁড়াবে। হাসিনা এবং ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে তা উপলব্ধি করা অপরিহার্য। দিল্লি সরকার ধারাবাহিকভাবে হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।

ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশিয়া ও বেলরুশের মতো একটি পৃষ্ঠপোষকতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তর করেছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে হাসিনা নিজের অধীনে নির্বাচন দেয় এবং ক্ষমতায় আসে। সেসময় প্রধান বিরোধীদল বিএনপি হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে চরম বিতর্ক থাকলেও ভারতের তখনকার পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বিএনপি-এর নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উদ্বুব্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই নির্বাচনটি প্রতারণামূলক ভোট হিসাবে স্বীকৃত তবে সেটাকে বৈধতা দেয়ার জন্য ভারত তাদের কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা করে।

২০১৮ সালের নির্বাচনেও হাসিনার আওয়ামী লীগ নিজেদের নিয়ন্ত্রীত নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি ভোটে জয় লাভ করে। হাসিনার এমন আচরণে তখন উত্তর কোরিয়ার কথা স্মরণ হয়। প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে নিজেদের ক্ষমতা পোক্ত করেছিলেন হাসিনা। সরকারি আমলা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ক্ষমতাসীন দলের পক্ষালম্বন করায় আওয়ামী লীগের ওই বিজয় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নজিরবীহিন প্রতারণামূলক নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

নির্বাচনে জালিয়াতি করার ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠলেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারই প্রথম হাসিনাকে অভিনন্দন জানায়। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রদান করার মাধ্যমে তার শাসনকে শক্তিশালী করেছিল।

ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, সেই সময়ে ঘটে যাওয়া নির্লজ্জ ভোট কারচুপি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিল ভারত। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে পশ্চিমারা হাসিনাকে সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু দিল্লি বরাবরের মতোই হাসিনার পক্ষেই কাজ করতে থাকে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া প্রশমিত করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে ভারত। এর মাধ্যমে দিল্লি সরাসরি আরেকটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন। তিনি সেসময় বলেছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দিল্লি আছে আমরাও আছি (তিনি দিল্লির সমর্থনের দিকে ইঙ্গত করেছিলেন)। এছাড়া তিনি এ বিষয়টিও নিশ্চিত করেন যে আওয়ামী লীগের আধিপত্যের প্রতি সাংবিধানিক যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে ভারত তাদের আশ্বস্ত করেছে।

সম্প্রতি হাসিনার ছেলে জয় বলেছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেবে ভারত। কেননা হাসিনার আকস্মিকভাবে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতি বড় একটি ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর কয়েক দিন বাংলাদেশ কার্যক্ষম সরকারহীন হয়ে পরে এবং বেশ কিছু নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয় এবং থানাগুলোকে দুর্নীতি, দমন-পীড়ন এবং চাঁদাবাজীর আখড়ায় পরিণত করেছিল। যাতে বছরের পর বছর অন্যায় এবং জুলুমের শিকার হওয় জনগোষ্ঠীর ভেতর এসব স্থানের ওপর আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। এ বিষয়টিই জনতাকে থানা এবং কার্যালয়ের ওপর সহিংস হতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সহিংসতায় তারা শতাধিক থানা ও দলীয় কার্যালয় জ্বালিয়ে দেন।

শেখ হাসিনা দিল্লির একজন কট্টর সমর্থক যা এখন আনুগত্যের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মূলত এ কারণেই ভারত ও বাংলাদেশ তাদের জনগণের দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

তবে এ ক্ষেত্রে একটি ভালো বিষয় হচ্ছে, ভারতে এমন কণ্ঠস্বরও আছে যারা এ বিষয়গুলো স্বীকার করে এবং বাংলাদেশি জনগণের সাথে দৃঢ়ভাবে সংহতি প্রকাশ করে। অস্থির পরিস্থিতির এড়াতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং নীতিগত পদ্ধতির আহ্বান জানায় তারা।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও সচল হয়েছে রাজধানীর মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেন। দীর্ঘ একদিনের বিরতির পর মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে যথারীতি গণপরিবহনগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়, যা ঢাকাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আগেই ঘোষণা দিয়েছিল যে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুধুমাত্র ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পরদিন থেকে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী মেট্রোরেল চলবে। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম মেট্রোরেল ট্রিপটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। একইভাবে, মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে, আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলও মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ঈদের আগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানিয়েছিলেন যে, ঈদের দিন সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে ঈদের আগে সব ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ (ডে-অফ) বাতিল থাকবে এবং ঈদের পর থেকে তা আবার কার্যকর হবে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। রাজধানীতে গণপরিবহন স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

ঈদের ছুটির পর অফিস ও কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেনের চলাচল শুরু হওয়া এক স্বস্তির খবর। যাত্রীরা মনে করছেন, স্বাভাবিক গণপরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত সচল হওয়ায় তাদের যাতায়াত সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ যাত্রায় এবার গত এক সপ্তাহে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকার টোল আদায় হয়।

ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়:-

গত ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এরমধ্যে সেতু পূর্ব উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। সেতু পশ্চিম ঢাকাগামী লেনে ১২ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ১৫ হাজার ৩৫৪ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। অপরদিকে, সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৬ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে সেতু পশ্চিমে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

গত ২৭ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে সেতু পূর্বে ২০ হাজার ২৪১ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৪ হাজার ৯৮৬ টি যানবাহন পারাপার হয়, টোল আদায় ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

গত ২৮ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

গত ২৯ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

ঈদযাত্রার শেষদিন রবিবার ৩১ হাজার ৪৬৫ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১০ হাজার ৩৩৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবারের ঈদ যাত্রায় গত এক সপ্তাহে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা। সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে উভয় পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়। 

তিনি আরো জানান, ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৪ লেন খুলে দেওয়ায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্য ফিরেছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর ঈদযাত্রায় তুলনামূলকভাবে কম দুর্ঘটনা ঘটলেও ঈদের দিনেই দেশের ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন।

সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে চট্টগ্রামে, যেখানে এক দুর্ঘটনাতেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।


চট্টগ্রাম: লোহাগড়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত ৯ জন। নিহতরা সবাই টেকনাফের ব্যবসায়ী ও কর্মচারী ছিলেন।

বগুড়া: শেরপুরে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত। এক ঘটনায় বাবা-মেয়ে বাসচাপায় প্রাণ হারান।

মেহেরপুর: মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস ও পাখিভ্যানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৩ জন।

গাজীপুর: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে এক নারী ও এক শিশুসহ ২ জন নিহত, আহত ৪ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাস-সিএনজি সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আরও ২ জন আহত।

কিশোরগঞ্জ: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত।

ফরিদপুর: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিহত।

নাটোর: মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে এক যুবকের মৃত্যু।

মাগুরা: সড়ক পার হওয়ার সময় এক নারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত।

ঝিনাইদহ: আলমসাধুর চাপায় এক শিশুর মৃত্যু।


এই ঈদের দিনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই মোটরসাইকেল সম্পর্কিত। কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, আবার কোনো ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল অন্য যানকে ধাক্কা দিয়েছে বা চাপা দিয়েছে।

সতর্কতা ও করণীয়

- চালকদের আরো সচেতন হতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

- ঈদে অতিরিক্ত ভিড় ও যানবাহনের চাপ থাকায় যাত্রীদেরও সতর্ক হতে হবে।

- মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। ঈদের আনন্দ যেন শোকের ছায়ায় ঢেকে না যায়, সে জন্য সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে রাস্তায় চলাফেরা করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু
যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১
টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান