শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গণতন্ত্রের প্রতীক থেকে অস্পৃশ্য সু চি!

মিয়ানমারের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের 'মূর্ত প্রতীক' ছিলেন অং সান সু চি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস সংগ্রামের নজির স্থাপনের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান তিনি। কয়েক মেয়াদে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। সেই অং সান সু চি ২০১৭ সালে দেশটির রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিজের অবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হন। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন অস্বীকার করে হারান নোবেল।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পান সু চি। ধারণা করা হচ্ছিল এবার বুঝি মিয়ানমারে গণতন্ত্র আসবে। সু চির হাত ধরে তার দেশে মানবাধিকার সমুন্নত হবে। ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে মিয়ানমার। দেশটিতে শান্তি-স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এমনটাই আশা ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল জয় পায়। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে দলটি ক্ষমতা নেয়। সাংবিধানিক বিধিনিষেধের কারণে প্রেসিডেন্ট হতে ব্যর্থ হন সু চি। এই পদে তিনি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী থিন কিউকে বসান। সু চি নিজে হন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কার্যত সু চিই সরকার চালান। আর মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন আনার পরিবর্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনেকটা মানিয়ে চলেন সু চি। সেনাবাহিনীর অবস্থানের বিরুদ্ধে যায়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকে তার সরকার।

আর ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে আবারও সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে, কারচুপির অভিযোগ এনে, সে নির্বাচন বানচাল করে সামরিক জান্তা। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের।

সেনা হেফাজতে নেওয়ার চার মাস পর গত জুনে বিচার শুরু হয় সু চির। সেনাবিরোধী উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ সোমবার( ৬ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের একটি আদালত করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনে অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ মামলার মধ্যে এদিন দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধের এ পর্যন্ত হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম রায় ঘোষণা হলো আজ। সু চির বিরুদ্ধে হওয়া সবগুলো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০৪ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

সু চির পাশাপাশি আটক থাকা এনএলডির অন্য সদস্যদেরও বিচার চলছে। গত মাসের শুরুতে সাবেক একজন মন্ত্রীকে ৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সু চির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।

রাজধানীর নেপিদোতে বিশেষ সেনা আদালতে সু চির বিচারকাজ চলছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। সু চির আইনজীবীরাও সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পারেন না।

৪ বছরের সাজা পাওয়া সু চির আরও মামলার রায় বাকি। মামলাগুলোর রায়ে সু চির ১০৪ বছর সাজা হলে আমৃত্যু কাটাতে হবে জেলে। সু চির গণতন্ত্রের আন্দোলন, গৃহবন্দীত্ব থেকে দেশ পরিচালনা সমস্ত দায়িত্বের অবাসান কি তবে শেষ হবে ১০৪ বছরের সাজায়?

সু চি ও মিয়ানমার

মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের মেয়ে অং সান সু চি। তার যখন দুই বছর বয়স তখন তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে বার্মা (বর্তমানে মিয়ানমার)। তার মাত্র দুই বছর পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।

স্বাধীনতা লাভের মাত্র ১৪ বছর পরে অভ্যূত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করেন সামরিক নেতা নে উইন। তিনি বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাদেরকে রাজনৈতিক প্রশাসনিক অঙ্গন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে সামরিক জান্তার মাধ্যমে বহু বছর ধরে দেশটি শাসন করেন।

১৯৮৮ সালে সু চি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগ্রাম শুরু করেন। এই আন্দোলন দমনের জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার গুলি চালিয়ে শতাধিক বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সাহসী স্পষ্টভাষী সমালোচক বলে দেশে-বিদেশে পরিচিতি পাওয়া অংসাং সু চিকে গৃহবন্দী করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার।

১৯৯১ সালে সু চিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়। তার এই সন্মান লাভ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরবান্বিত করা হয় একই সাথে আবার মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের প্রতিদ অনাস্থাও প্রকাশ করা হয়।

২০১০ সালের ৭ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনে জান্তাপন্থী একটি দল জয়লাভ করে। তবে সে ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও পক্ষ পাতিত্বমূলক বলে বিস্তর অভিযোগ উত্থাপিত হলে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্যাসি ঐ ভোট বর্জন করে।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তারিখে দুই দশকেরও বেশী একটানা আটক থাকার পর এনএলডি প্রধান অং সাং সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

২০১২ সালে সু চি একটি উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন এবং জীবনে প্রথম বারের মত সংসদে আসন গ্রহণ করার সুযোগ পান।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সে দেশের সামরিক শাসকদের তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত সংবিধানের অধীনে সেনারা তাদের হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে সু চিকে প্রেসিডেন্ট হতে দেয় নি। তখন সরকারের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সু চির দাবি আংশিক মেনে নিয়ে তার জন্য ষ্টেট কাউন্সিলার নামে নতুন পদ তৈরী করা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট বিদ্রোহীরা পশ্চিামঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সামরিক ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এতে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়া সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর বেপরোয়া ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। এর পর প্রায় সাত থেকে দশ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আত্মরক্ষা করে।

২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারে গণহত্যা চালানো এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে দেশত্যাগ বাধ্য করার প্রতিবাদে গাম্বিয়া কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার শুনানীতে হাজির হয়ে সু চি, গণহত্যা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। ফলে তিনি বিশ্বব্যাপী নিন্দার পাত্রে পরিণত হন। এক পর্যায়ে নোবেল কমিটি সূ চিকে প্রদত্ত নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেন।

২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। তবে ২৯ জানুয়ারি সামরিক শাসক ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বানচাল করে দেয়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সু চিকে আবারও গৃহবন্দী করে সামরিক বাহিনী এবং এক বছরের জন্য দেশটিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

কেএফ/

 

 

Header Ad
Header Ad

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে তীব্র শীতের দাপট বেড়েছে। টানা দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, আর কুয়াশা ঝরছে যেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল হাওয়ার দাপট। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে পুরো দেশ কাঁপছে শীতের কনকনে ঠান্ডায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো দেশ। সকাল ১০ টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। রাজধানীতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। ছুটির দিন হওয়ায় পথেঘাটে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক কম। তবে যারাই বের হচ্ছেন, বৃষ্টির মত কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় ভোগান্তিতে পড়ছেন।

বরাবরের মতোই শীতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় খেটে খাওয়া আর ছিন্নমূল মানুষ। এক টুকরো গরম কাপড় আর সূর্যের মান ভাঙার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

বিদ্যমান আবহাওয়া আরও কিছুদিন অপরিবর্তিত থাকবে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড় যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

একদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পারে। আর এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো ২০ জন। শুক্রবার ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখী লেনে বাস ও ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে নিহত হন দুইজন, অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় মিনিবাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন, আব্দুল্লাহ পরিবহনের হেলপার শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাও গ্রামের বাসিন্দা মো. জীবন (৪৪) ও সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা বাসযাত্রী মো. রায়হান (২৭)। নিহতদের মরদেহ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও শুক্রবার ভোরে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে বলে জানান হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী। তবে কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি।

এর আগে গত শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ৬ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০
মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক