বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লোকসভা নির্বাচনে ২৫ বছরেই যারা করলেন বাজিমাত

ছবি: সংগৃহীত

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত ‘চার শ পার’ না করতে পারলেও এই নির্বাচনে বেশ চমক দেখিয়েছে রাহুলের কংগ্রেস, মমতার তৃণমূল কংগ্রেসসহ ছোট ছোট দলগুলো।

বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাফল্য নজর কেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একক প্রভাব খর্ব করে দারুণ সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই জোট। সেই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে আলাদা করে নজর কেড়েছেন এ প্রজন্মের চার রাজনীতিক।

ভোটের লড়াইয়ে জিতে আসা এই চারজন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। বিহার, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান থেকে জয় পেয়েছেন তারা। চারজনের একটি জায়গায় দারুণ মিল, সবারই বয়স ২৫ বছর।

এই চারজন হলেন- পুষ্পেন্দ্র সরোজ, প্রিয়া সরোজ, সম্ভাবী চৌধুরী এবং সঞ্জনা জাতভ।

পুষ্পেন্দ্র সরোজ সমাজবাদী পার্টির সদস্য। উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বি লোকসভা আসন থেকে ভোটের লড়াই নেমেছিলেন তিনি। শুরুতেই বাজিমাত করেছেন। ওই আসনে বিজেপির সংসদ সদস্য বিনোদ কুমার শঙ্করকে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন পুষ্পেন্দ্র।

সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সরোজের ছেলে পুষ্পেন্দ্র। ইন্দ্রজিৎ উত্তর প্রদেশের পাঁচবারের এমএলএ। প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন পুষ্পেন্দ্র। পরে দেশে ফিরে বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। এখন মাত্র ২৫ বছর বয়সে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।

সমাজবাদী পার্টির আরেক তরুণ মুখ প্রিয়া সরোজ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মছলিশহর আসন থেকে জিতেছেন তিনি। ৩৫ হাজার ৮৫০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সংসদ সদস্য ভোলানাথকে। প্রিয়ার বাবা তুফানি সরোজ তিনবারের সংসদ সদস্য।

সম্ভাবী চৌধুরী বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির সদস্য। রাজ্যের সমস্তিপুর আসন থেকে কংগ্রেসের সানি হাজারিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। সানি জনতা দলের (সংযুক্ত) মন্ত্রী মহেশ্বর হাজারির ছেলে। তাদের ভোটের ব্যবধান লাখের ওপরে।

সম্ভাবী চৌধুরীর বাবা অশোক চৌধুরীও রাজনীতিবিদ। অশোক চৌধুরী বিহারের নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দলে (সংযুক্ত) যোগ দিয়েছেন তিনি। সম্ভাবী চৌধুরীর দাদা মহাবীর চৌধুরীও একসময় কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

কংগ্রেসের সদস্য সঞ্জনা জাতভ। রাজস্থানের ভারতপুর আসন থেকে এবার জয় পেয়েছেন তিনি। ৫১ হাজার ৯৮৩ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির রামস্বরূপ কোলিকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনেও লড়েছিলেন সঞ্জনা। কিন্তু তখন জিততে পারেননি তিনি। বিজেপির প্রার্থী রমেশ খেদির কাছে মাত্র ৪০৯ ভোটে হেরেছিলেন তরুণ এই প্রার্থী।

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে চিনি ও জিরা এনে মজুত করার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি