একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি, ভাগ্য এখন জোটের হাতে
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় যে ফলাফল দেখা যাচ্ছে, তা বুথ ফেরত জরিপের সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তাদেরকে এখন নির্ভর করতে হচ্ছে এনডিএ জোটের ওপর।
ভারতে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলকে অন্তত ২৭২ আসনে জয় পেতে হয়। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। ফলে জোট নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
এনডিএ জোটের অন্যতম দুইটি দল হলো চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি ও নিতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে পারে তারা। ২০১৪ সালের পর প্রথম এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলো।
এনডিএ জোটের অন্য দুইটি বড় দল হলো ছয়টি আসনে এগিয়ে থাকা একনাথ শিন্দের শিবসেনা ও পাঁচটিতে এগিয়ে থাকা চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি।
ভারতে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এনডিটিভিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা বুধবার (৫ জুন) এনডিএ জোটের বৈঠক ডেকেছেন। তাছাড়া মোদী ও অমিতশাহ দুইজনেই নাইডুর সঙ্গে আজ কথা বলেছেন।
তাছাড়া নাড্ডার বাসায় বিজেপির একটি বৈঠক চলছে। সেখানে রয়েছেন অমিতশাহ ও রাজনাথ সিং ও অন্যান্য সিনিয়র নেতারা। সন্ধ্যার দিকে মোদী নিজেও বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে যাবেন।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটও আগামী কাল বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এনসিপির প্রধান শারদ পাওয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে তথ্য ছড়িয়েছে যে, শারদ পাওয়ার নাইডু ও নিতিশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ও কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে লড়াই এর আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে ৫৪৩ আসনের মধ্যে এনডিএ জোট ২৯২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট ২৩৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে কোনো আসনেই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
বিজেপি এককভাবে ২৪১ আসনে এগিয়ে রয়েছে। যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্তত ২৭২ আসনে জয় পেতে হবে।
এদিকে কংগ্রেস এককভাবে ৯৯ আসনে এগিয়ে। অন্যরা এগিয়ে ২০৩টি আসনে। ফলে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভারতে এবার সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।