ক্ষমতা দখলের জন্য নির্বাচনকে দায়ী করলেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গতকাল মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ দাবি করেন।
দেশে শান্তি ফেরাতে ফের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মিয়ানমারের এই সামরিক শাসক। এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আবারও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার সামরিক সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ছিল মিয়ানমারজুড়ে। এদিন সেনা সরকারের পক্ষ নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়েছে রাজধানী নেপিদোতে। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। উল্টো দিকে বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছে জান্তাবিরোধীরা। তবে এদিন দেশটির কোথাও সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
বর্ষপূর্তির দিনে দেশজুড়ে দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল জান্তা প্রশাসন। তবে বেশিরভাগ দোকানই ছিল বন্ধ।
এদিন এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে অবৈধ উপায়ে জয় পেয়েছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। এ জন্যই রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে বর্ষপূর্তির দিনে মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। একই সঙ্গে দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ ও রক্তপাত মিয়ানমারকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। গত এক বছরের সংঘাতে দেশটিতে দেড় হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এসএ/