যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা। ছবি: সংগৃহীত
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল, গাজা থেকে তারা হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করবে। তবে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।
এদিকে রোববার (২৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রপার রিজার্ভ ইউনিটের সেনারা বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় তাদের ডাকা হলে এতে সাড়া দেবেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ৬ মাস ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
শনিবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। মারিভ পত্রিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কায় অত্যন্ত চাপে এবং আতঙ্কের মধ্যে আছেন নেতানিয়াহু। দ্যা নিউ আরব।
এদিকে আজ সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কাল কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে আগামীকাল জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কিনা।
ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েইল