ইরানের হামলার পর বাইডেন-নেতানিয়াহু ফোনালাপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে গতকাল শনিবার কয়েক ডজন ড্রোন হামলা করে ইরান। ড্রোন হামলাচলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (১৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ হয়েছে। ইরান হামলা চালানোর পর দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম ফোনালাপ বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তিনি গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জো বাইডেন বলেছেন, মোতায়েনকৃত ব্যবস্থা ও আমাদের দক্ষ সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ, আমরা ধেঁয়ে আসা প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছি।
এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইআরজিসির বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউনিট কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও রয়েছেন। তিনি সিরিয়া ও লেবাননে কুদস ফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।